Murder

‘বিশ্বাসঘাতকতা বরদাস্ত নয়’, মহিলার গলার নলি কেটে ভিডিয়ো পোস্ট, চ্যালেঞ্জ পুলিশকেও

এক মহিলাকে গলার নলি কেটে খুন করার অভিযোগ উঠেছে অভিজিৎ পাতিদার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে পুলিশকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি, ‘ক্ষমতা থাকলে আমাকে গ্রেফতার করুন!’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জবলপুর শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২২ ০৯:৫২
Share:

মহিলাকে খুনে অভিযুক্ত ব্যক্তি অভিজিৎ। তাঁর খোঁজে তিন রাজ্যে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।

‘বেওয়াফাই নেহি করনে কা…. (বিশ্বাসঘাতকতা বরদাস্ত নয়)’

Advertisement

বাবু, হেভেন মে ফির মিলেঙ্গে…(বাবু, স্বর্গে আমাদের আবার দেখা হবে)।

এমনই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেখানেই হুমকির সুরে এ কথা বলছেন এক ব্যক্তি। কথা বলতেই বলতেই পাশে কম্বলে ঢাকা একটি মহিলার দেহ দেখান। তাঁর গলার নলি কাটা। শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ড ঘিরে যখন গোটা দেশ তোলপাড়, ঠিক সেই সময়ই আরও একটি শিউরে ওঠা ঘটনা প্রকাশ্যে এল। এ বার ঘটনাস্থল মধ্যপ্রদেশের জবলপুর।

Advertisement

এক মহিলাকে গলার নলি কেটে খুন করার অভিযোগ উঠেছে অভিজিৎ পাতিদার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে পুলিশকেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি, ‘ক্ষমতা থাকলে আমাকে গ্রেফতার করুন!’

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম শিল্পা জারিয়া। বয়স পঁচিশ। জবলপুরের মেখলা রিসর্ট থেকে উদ্ধার হয়েছে শিল্পার নলিকাটা দেহ। পর পর বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন অভিযুক্ত। তার মধ্যে একটিতে তিনি বলছেন, “বিশ্বাসঘাতকতা বরদাস্ত নয়।” তার পরই কম্বলের নীচ থেকে শিল্পার নলিকাটা দেহটি দেখান। তার পরই আবার একটি ভিডিয়োয় তিনি বলেছেন, “বাবু, আমাদের আবার দেখা হবে স্বর্গে।”

আরও একটি ভিডিয়োয় নিজের নাম প্রকাশ করে অভিজিৎ দাবি করেছেন, তিনি পটনার এক জন ব্যবসায়ী। তাঁর ব্যবসার সঙ্গী জিতেন্দ্র কুমারের সঙ্গে শিল্পার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অভিজিৎ দাবি করেছেন, সেই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে জিতেন্দ্রর কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে জবলপুরে পালিয়ে এসেছিলেন শিল্পা। জিতেন্দ্রর নির্দেশেই তাই জবলপুরে এসে শিল্পাকে খুন করেছেন অভিজিৎ

ইতিমধ্যেই জিতেন্দ্র এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সুমিত পটেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জবলপুর পুলিশের এসএসপি প্রিয়ঙ্কা শুক্ল জানিয়েছেন, এক মাস ধরে জিতেন্দ্রর বাড়িতে থাকতেন অভিজিৎ। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, গত ৬ নভেম্বর মেখলা রিসর্টে একটি ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন অভিজিৎ। রাতে একাই ছিলেন। পর দিন বিকালে এক মহিলা আসেন সেখানে এবং তাঁরা দু’জনে খাবারের অর্ডার দেন। এক ঘণ্টা পর হোটেলের ঘরের দরজা বন্ধ করে অভিজিৎ বেরিয়ে যান। ৮ নভেম্বর হোটেলের দরজা ভেঙে শিল্পার নলিকাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এসএসপি জানিয়েছেন, অভিজিতের খোঁজে চারটি বিশেষ দল গঠন করে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাতে পাঠানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন