অনলাইন ওষুধ বিক্রির প্রতিবাদে এ বার পথে নামলেন সারা দেশের ওষুধ বিক্রেতারা। ১৪ অক্টোবর দেশ জুড়ে প্রায় আট লক্ষ ওষুধের দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু ধর্মঘটের কারণগুলি সমর্থন করলেও পুজোর মুখে দোকান বন্ধ রাখছেন না এ রাজ্যের ওষুধের দোকানদাররা।
সর্বভারতীয় ওষুধ বিক্রেতাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিক্স অ্যাক্ট’ এবং ‘ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাক্ট’ অনুযায়ী অনলাইনে ওষুধ বিক্রি বেআইনি। যদিও এক অনলাইন ওষুধ বিক্রেতা রাজীভ গুলাটি জানিয়েছেন, মানুষের সুবিধার্থেই তাঁদের এই পদক্ষেপ। আর এক অনলাইন ওষুধ বিক্রেতা বলেছেন, প্রত্যেক ওষুধের দোকানে ফার্মেসিতে স্নাতক না হলে চাকরিতে নিয়োগের নিয়ম নেই। কিন্তু সেই নিয়মও হামেশাই লঙ্ঘন করা হয় বলে তিনি জানিয়েছেন।
বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুবোধ ঘোষ বলেছেন, ‘‘অনলাইনে বেআইনি ভাবে বহু ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া যে ওষুধ পাওয়ার কথাই নয়, সেগুলোও দেদার কিনছেন মানুষ।’’ অনলাইনে ওষুধের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, যে সব ওষুধ ফ্রিজে রাখা বাধ্যতামূলক, সেগুলিও অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। তাঁর মতে, এতে ক্ষতি হচ্ছে রোগীদেরই।
তিনি পশ্চিমবঙ্গবাসীকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন পুজোর মুখে তাঁরা দোকান বন্ধ রাখবেন না। তাঁদের বক্রব্য, এ রাজ্যে ওটা উৎসবের সময়। সেই সময় ওঁরা সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলতে চান না। সুবোধবাবু বলেছেন, ‘‘আমরা লাগাতার প্রতিবাদের পথে নামলেও দোকান খোলাই থাকবে।’’ সর্বভারতীয় নেতৃত্বকে তাঁরা বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন। বিসিডিও কর্তারা জানান, আজ মঙ্গলবার থেকেই জেলায় জেলায় মিছিল, পোস্টার, ড্রাগ কন্ট্রোলের দফতরের সামনে ডেপুটেশন ইত্যাদির মাধ্যমে ই-ফার্মেসির বিপদ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করবেন তাঁরা।