— প্রতীকী ছবি।
চূড়ান্ত মত্ত অবস্থায় তীব্র গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটালেন বছর বাইশের এক তরুণী। তাঁর গাড়ির ধাক্কায় উল্টো দিক থেকে আসা অন্য একটি গাড়ির আরোহী এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম পুনম সারদানা (৩৮)। পুনমের কিশোরী কন্যাও গুরুতর আহত। তার একটি চোখ নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা চিকিৎসকদের। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার গভীর রাতে দিল্লির পঞ্জাবি বাগ উড়ালপুলে।
যার জন্য এমন দুর্ঘটনা, সেই তরুণীর নাম শিবানী মালিক। তাকে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ লঘু ধারা দিয়ে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে নিহত মহিলার পরিবারের তরফে এ নিয়ে ক্ষোভ জানানো হলে পুলিশ শিবানীকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে ছত্তরপুরের একটি মন্দিরে দর্শন সেরে বাড়ি ফিরছিলেন দুই ভাই সুধীর এবং বিমল সারদানা। তাঁরা উত্তর দিল্লির বাসিন্দা। বিমলের স্ত্রী পুনম এবং মেয়ে চেতন্যা বসেছিলেন ড্রাইভারের আসনের পিছনে। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ পঞ্জাবি বাগ উড়ালপুলে আচমকাই ডিভাইডার টপকে একটি গাড়ি তীব্র গতিতে এসে ধাক্কা মারে তাঁদের গাড়িটিকে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা পুনমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘাতক গাড়িটির চালক শিবানী গাজ়িয়াবাদের মোহন নগরের বাসিন্দা বলে জানান দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার। শিবানী দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। পাশাপাশি নয়ডার একটি সংস্থায় চাকরি করেন। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে শিবানী ছাড়াও গা়ড়িটিতে ছিলেন তাঁর আরও তিন বন্ধু। কনটপ্লেসের একটি বারে মদ্যপান করে সেখান থেকে গাড়ি চালিয়ে গুরুগ্রামের একটি রেস্তরাঁর দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। তখনই এই ঘটনাটি ঘটান শিবানী। দুর্ঘটনার পরে শিবানীর গাড়িতে থাকা দুই পুরুষ বন্ধু উধাও হয়ে যান। তবে ধরা পড়ে যান শিবানী ও তাঁর বান্ধবী দামিনী।
বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো, অবহেলায় মৃত্যু ঘটানো এবং অনিচ্ছাকৃত খুন-সহ আরও বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে শিবানীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পঞ্জাবি বাগ থানার পুলিশ।