কলকাতা বিমানবন্দরে জেট এয়ারওয়েজের বাসের সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের ধাক্কার এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। এর মধ্যে বিমানটির ডানার তলা থেকে বাসটি বের করা হলেও সারানো যায়নি ক্ষতিগ্রস্ত বিমানটিকে। ঠিক হয়েছিল, পরিবর্ত হিসেবে আর একটি এটিআর বিমানকে সারিয়ে শিলচর-কলকাতা রুটে চালানো হবে। কিন্তু, মঙ্গলবার পর্যন্ত তা-ও করা যায়নি। তাই এখন কলকাতা থেকে সকালের শিলচরের উড়ান অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রেখেছে এয়ার ইন্ডিয়া। ইন্টারনেট-এ ওই উড়ানের টিকিট বিক্রিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ওই রুটের যাত্রীরা।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এত দিন ধরে দুপুরে তারা কলকাতা-শিলচর রুটে যে ১৪৪ আসনের বড় বিমান চালাচ্ছিল, সেই বিমানেই সকালের উড়ানের যাত্রীদের নিয়ে যাতায়াত করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন ধরে এয়ার ইন্ডিয়ার দু’টি ছোট এটিআর বিমান বিকল হয়ে কলকাতা বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গারে (বিমানের গ্যারেজ) পড়েছিল। কলকাতা থেকে নিয়মিত উড়ছিল অন্য একটি বিমান। গত মঙ্গলবার দুর্ঘটনার পরে ৪৮ আসনের ওই বিমানটি-ই বিকল হয়ে পড়ে। তখন ঠিক হয়, যন্ত্রাংশ এনে বসে থাকা দু’টি বিমানের একটিকে চালু করা হবে। গত শনিবার সেই বিমানটি পরীক্ষামূলক ভাবে একবার উড়েওছে বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু সেটি এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ (ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন)-এর অনুমতি পায়নি।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, ৩২ নম্বর বে-তে চাকা ভেঙে পড়ে থাকা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটিকে দেখতে এ দিনই বিমা সংস্থার প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। ইঞ্জিনিয়াররা বিমানের ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক হিসেব কষেছেন। কোথায়, কী ক্ষতি হয়েছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট ফ্রান্সে এটিআর-এর সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে। বিমান সারাতে ঠিক কত টাকা লাগবে তা ওই দফতর থেকেই জানানো হবে এলে বিমান সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে।