হারাঙ্গজাওয়ে ক্ষোভ

শিলচর-হাফলং ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করার হুমকি দিল হারাঙ্গাজাও এলাকার বাসিন্দারা।গত সন্ধেয় হারাঙ্গাজাও ঠাকুরবাড়িতে প্রাক্তন বিধায়ক সমরজিৎ হাফলংবারের পৌরোহিত্যে এক নাগরিকসভায় এমনই দাবি ওঠে। দীর্ঘ দিন ধরে হারাঙ্গাজাও থেকে জাটিঙ্গা পর্যন্ত ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়ক বেহাল অবস্থায় রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাফলং ও হাইলাকান্দি শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:২০
Share:

শিলচর-হাফলং ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করার হুমকি দিল হারাঙ্গাজাও এলাকার বাসিন্দারা।

Advertisement

গত সন্ধেয় হারাঙ্গাজাও ঠাকুরবাড়িতে প্রাক্তন বিধায়ক সমরজিৎ হাফলংবারের পৌরোহিত্যে এক নাগরিকসভায় এমনই দাবি ওঠে। দীর্ঘ দিন ধরে হারাঙ্গাজাও থেকে জাটিঙ্গা পর্যন্ত ৫৪ নম্বর জাতীয় সড়ক বেহাল অবস্থায় রয়েছে। কার্যত মরণফাঁদ ওই রাস্তা। হারাঙ্গাজাও থেকে হাফলং যাতায়াত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। অভিযোগ, বিপদের ঝুঁকি নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এ নিয়ে অনেক বার জেলা প্রশাসন, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানানোর পরও কোনও কাজ হয়নি বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। গত কালের নাগরিকসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হারাঙ্গাজাও থেকে জাটিঙ্গা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারে জেলা প্রশাসন বা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী না হলে, হারাঙ্গাজাওয়ে রাস্তা অবরোধ করা হবে। এ বিষয়ে সমরজিৎবাবু জানান, হারাঙ্গাজাও থেকে জাটিঙ্গা পর্যন্ত রাস্তার বেহাল পরিস্থিতি নিয়ে তিনি অনেক বার জেলা প্রশাসন ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কিন্তু তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। সমরজিৎবাবু বলেন, ‘‘ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। রাস্তা বড় বড় গর্ত রয়েছে। পিচের প্রলেপ উঠে গিয়েছে। মাঝেমধ্যেই রাস্তায় লরি-বাস আটকে যায়। যে কোনও সময় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।’’

তিনি অভিযোগ করেন, এখন ওই রাস্তায় ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের নির্মাণকাজও বন্ধ রয়েছে। নির্মাণকারী সংস্থা পাহাড় কেটে রাস্তার উপর ফেলে রেখেছে। রাস্তার বেহাল দশার জন্য প্রাক্তন বিধায়ক জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন