জটিলতা কেটেও কাটছে না। ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরে বালাছড়া-হারাঙ্গাজাও অংশের সড়ক নির্মাণ এখনও অনিশ্চয়তায়। দরপত্র আহ্বানের পর তিন দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। নানা জটিলতায় ঠিকাদাররা কাজে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল)-এর দাবি, সমস্যা ঠিকাদারের নয়। পরিবেশ ও বন সংক্রান্ত ছাড়পত্রের জন্যই আটকে গিয়েছে পরবর্তী পদক্ষেপ। তাঁরা আশাবাদী, কেন্দ্রের বিশেষ আগ্রহে যখন দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, তখন ছাড়পত্র আটকে থাকবে না।
২০০৪ সালে শিলচরে ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের কাজের শিলান্যাস হয়েছিল। চার লেনের সড়কে দ্রুত গুয়াহাটি (গুজরাতের সৌরাষ্ট্র পর্যন্ত) পৌছনোর স্বপ্ন দেখছিলেন বরাকের মানুষ। এত দিনে অধিকাংশ জায়গায় কাজ শেষ হলেও আটকে ছিল বালাছড়া-হারাঙ্গাজাও ৩১ কিলোমিটার অংশ। বরাইল অভয়ারণ্যের বুক চিরে এগোনোর জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রকের ছাড়পত্র প্রয়োজন ছিল বলে সব কিছু থমকে ছিল এত দিন।
কাছাড়ের জেলাশাসক এস বিশ্বনাথন জানিয়েছেন, কাছাড় জেলায় ছাড়পত্রের সমস্যা নেই। মুশকিল ডিমা হাসাওয়ে। এনএইচআইডিসিএল-এর প্রোজেক্ট ডিরেক্টর সঞ্জীব জৈন আজ জানান, ওই অংশের ছাড়পত্র পেতে সমস্যা হবে না ভেবেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। কেন্দ্র সরকারও সে ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহ দেখিয়েছে। কিন্তু এখনও তা হয়ে ওঠেনি। তাই দফায় দফায় বাড়াতে হচ্ছে মেয়াদ। সর্বশেষ ২৮ মার্চ সময়সীমা ঘোষণা করা হলেও সঞ্জীববাবুর অনুমান, সেটি আরেক দফা বাড়ানো হতে পারে।
প্রশ্ন হল, ৩১ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হলেও তাঁরা কাছাড়ের ২৫.২৫০ কিমি কাজের জন্যই দরপত্র ডেকেছেন। তার পরও কেন ডিমা হাসাওয়ের ছাড়পত্রের জন্য আটকে গেল সব কিছু? পুরো ছাড়পত্র ছাড়া যদি এগোনো না যায়, তবে ৩১ কিলোমিটারেরই টেন্ডার ডাকা হল না কেন? স্পষ্ট জবাব মেলেনি।
অসমের পূর্তমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের দাবি, ডিমা হাসাও জেলার যে সামান্য অংশের ছাড়পত্র বাকি ছিল, তা এরই মধ্যে মিলে গিয়েছে। হয়তো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এখনও সঞ্জীববাবুদের অফিসে গিয়ে পৌঁছয়নি। দরপত্র যখন ডাকা হয়েছে, এই কাজ কোনও কিছুর জন্যই আটকে থাকবে না।