ডাকনামের তুবড়ি সামাল দিতে নাভিশ্বাস কমিশনের

নরখাদক! নিষ্ঠুর! পশুখাদ্য-চোর! ধৃতরাষ্ট্র! মুঙ্গেরিলাল! পাগল! তোলাবাজ! ডাকনামের ফোয়ারা ছুটছে ভোটের বিহারে। আর তা সামাল দিতে নির্বাচন কমিশনের নাভিশ্বাস।

Advertisement

দিবাকর রায়

পটনা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৫ ০২:৩২
Share:

নরখাদক! নিষ্ঠুর! পশুখাদ্য-চোর!

Advertisement

ধৃতরাষ্ট্র! মুঙ্গেরিলাল! পাগল! তোলাবাজ!

ডাকনামের ফোয়ারা ছুটছে ভোটের বিহারে। আর তা সামাল দিতে নির্বাচন কমিশনের নাভিশ্বাস।

Advertisement

নির্বাচনী সভায় নেতারা গরমাগরম বক্তৃতা দেবেন, জানা কথা। কিন্তু সেই বক্তৃতার ফাঁকে ফাঁকে ‘ব্যক্তিগত আক্রমণ’ ও মর্যাদাহানিকর সম্বোধনেরও তুবড়িও যে চালু রয়েছে! ভোট যত কাছে আসছে, তত বাড়ছে তুবড়ির তেজ। সব দেখে অনেকে বলছেন, ‘‘একটা বিধানসভা ভোট ঘিরে যেন কটূক্তির প্রতিযোগিতা বসে গিয়েছে বিহারে।’’

আলটপকা তোপ চালাচ্ছে যুযুধান দু’পক্ষই। কিন্তু পাল্টা তোপ ধেয়ে এলেই পত্রপাঠ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে নালিশ ঠুকতে ভুল হচ্ছে না কারও। প্রতি দিনই বিভিন্ন জেলা থেকে অভিযোগ জমা পড়ছে। এ যাবৎ এমন তিনটি অভিযোগের জেরে এফআইআর পর্যন্ত দায়ের করেছে কমিশন। কিন্তু জমে থাকা আরও কটূক্তির অভিযোগের কী হবে, তা নিয়ে কর্তারা ভাবিত। বিহারের সহকারী মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আর লক্ষ্মণ বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পরে আমরা তা খতিয়ে দেখছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সেই অভিযোগ জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হচ্ছে।’’

যে তিনটি এফআইআর দায়ের হয়েছে, তিনটিতেই অভিযুক্ত তিন ওজনদার নেতা— অমিত শাহ, লালু প্রসাদ, আকবরউদ্দিন ওয়াইসি। দিন কয়েক আগে নির্বাচনী প্রচারে লালুকে ‘চারাচোর’ (পশুখাদ্য চোর) বলেন অমিত। জবাবে বিজেপি সভাপতিকে ‘নরখাদক’ আখ্যা দেন লালু। অভিযোগ জমা পড়তে দু’জনের বিরুদ্ধেই কড়া মনোভাব নিয়েছে কমিশন।

এমআইএম নেতা ওয়াইসি সম্প্রতি কিষানগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘জালিম’ (নিষ্ঠুর) বলে তোপ দাগেন। তার প্রেক্ষিতে কমিশনের নির্দেশে এফআইআর করেন কিষানগঞ্জের এসপি রাজীব রঞ্জন। আকবরউদ্দিনকে গ্রেফতার করার জন্য টিম তৈরি করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন