রবার্ট বঢরার সংস্থার দফতর এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ তিন জনের অফিস ও বাড়িতে তল্লাশি চালাল ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)।
সরকারি ভাবে এ বিষয়ে কিছু না-জানালেও, ইডি সূত্রের দাবি— এই তিন জনের মধ্যে গাঁধী পরিবারের জামাই বঢরার সংস্থার সঙ্গে যুক্ত দুই ব্যক্তি রয়েছেন। ইডি-র সন্দেহ, এই দু’জন একটি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে কমিশন বা ঘুষ নিয়ে সেই অর্থে বিদেশে সম্পত্তি কিনেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, রাহুল গাঁধী যখন নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে রাফাল চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন, তখন তাঁর আত্মীয়ের বিরুদ্ধেই প্রতিরক্ষা চুক্তিতে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ সাজাতে চাইছে কেন্দ্র? কোন প্রতিরক্ষা চুক্তি, সন্দেহভাজনদের পরিচয় কী, তার কিছুই অবশ্য ইডি জানায়নি।
বঢরার আইনজীবী সুমন খেতানের দাবি, কোনও এফআইআর বা তল্লাশির নির্দেশ ছাড়া দিল্লির সুখদেব বিহারে বঢরার দফতরেই তালা ভেঙে ঢুকে ইডি তল্লাশি চালিয়েছে। তল্লাশির নামে আসলে ষড়যন্ত্র করে দফতর থেকে মিথ্যে নথি উদ্ধার হয়েছে বলা হবে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বঢরার আইনজীবী।
প্রিয়ঙ্কার স্বামী ও রাহুল গাঁধীর ভগ্নিপতি বঢরার বিরুদ্ধে ইডি-র এই অভিযানকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও বিধানসভা ভোটের ফলাফল থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘পাঁচ রাজ্যের ভোটে নিশ্চিত হার দেখে বঢরার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। ইডি, সিবিআই ও আয়কর দফতরকে ক্রীতদাস হিসেবে কাজে লাগাচ্ছেন মোদী।’’
বঢরার সংস্থা স্কাইলাইট হসপিটালিটির বিরুদ্ধে বিকানেরে বেআইনি ভাবে জমি হাত বদল করার একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সম্প্রতি তাঁকে একাধিকবার সমন পাঠিয়েছিল ইডি। বঢরা তাঁর প্রতিনিধিকে পাঠিয়েছিলেন। বঢরার আইনজীবীর দাবি, তাঁরা সমস্ত নথি ইডি-কে জমা দিয়ে এসেছেন। তার পরেও আজ সকালে ইডি অফিসারেরা দিল্লিতে বঢরার সুখদেব বিহারের অফিসে হানা দেন। খেতান বলেন, ‘‘ইডি-র অফিসারদের কাছে তল্লাশির নির্দেশও ছিল না। বেআইনি ভাবে তাঁরা তালা ভেঙে ঢোকেন। সব কেবিনের তালা ভেঙে দেওয়া হয়। আইনজীবীদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ভিতরে কর্মীদেরও আটকে রাখা হয়? এটা কি নাৎসি যুগ চলছে?’’