বৃদ্ধকে স্টেশনে ফেলে গেল আত্মীয়েরা

এখন আর কাজে যেতে পারেন না। সামান্য যা কিছু জমানো টাকা ছিল, তাও ফুরিয়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শিলচর শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:৫৯
Share:

অসমের বদরপুর স্টেশনে বশরত আলি। নিজস্ব চিত্র

জীবিকার জন্য টানা লড়াইয়ে নিজের আর সংসার পাতার ফুরসতই মেলেনি বশরত আলির। তা নিয়ে ভাবেনওনি এত কাল। দিনমজুরের কাজ করেছেন। তুতো ভাইদের সঙ্গে থেকেছেন। তাঁদের ছেলেমেয়েদের নিজের সন্তান ভেবেই আদরযত্ন করেছেন। কিন্তু গত কয়েক বছরে সব যেন বদলে গিয়েছে। এখন আর কাজে যেতে পারেন না। সামান্য যা কিছু জমানো টাকা ছিল, তাও ফুরিয়ে গিয়েছে। আর সেই থেকেই শুরু হয় আধপেটা খাওয়া। সকলের সঙ্গে নয়, আলাদা জায়গায় পিঁড়ি নিয়ে বসতে হতো। সব মেনে নিয়েই দিন কাটাচ্ছিলেন। ভাবছিলেন, কতদিন আর বাঁচব!

Advertisement

কিন্তু এমন দিনও যে আসবে, কখনও বোধহয় ভাবেননি অশীতিপর বশরত আলি। বুধবার সকালে ভাইপোরা পোঁটলাপুঁটলি-সহ বৃদ্ধকে বদরপুর রেলস্টেশনে ছেড়ে দিয়ে যায়। কারও কাছে পরিচয় না দিতেও শাসিয়ে গিয়েছে। বশরত অবশ্য শাসানির জন্য নয়, কৃতজ্ঞতাবশেই ভাই-ভাইপোদের নাম প্রকাশ করতে চান না। বললেন, ‘‘কম দিন তো আর একসঙ্গে থাকলাম না!’’ পরক্ষণেই হাত দুটি তুলে ধরে আক্ষেপ করেন, ‘‘এই হাতে কম মানুষের ঘর তৈরি করিনি। আর আজ আমার ঘর নেই! এই আমার ঠিকানা!’’ প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে, প্রধান দরজার সামনে এক কোণায় ঠাঁই নিয়েছেন কাছাড় জেলার ফুলবাড়ির বাসিন্দা বশরত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন