ওপি রাওয়াত। ছবি: পিটিআই।
বিরোধী দলগুলি বলছে, প্রধানমন্ত্রী যাতে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে না পড়েন সে জন্যই নির্বাচন কমিশন আজ পাঁচ রাজ্যে ভোটের দিন ঘোষণার সময় পিছিয়ে দিয়েছে। এই অভিযোগ মানতে নারাজ নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও পি রাওয়ত বলেছেন, ‘‘নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা সময়ে শেষ না-হওয়ায় সাংবাদিক বৈঠকের সময় পিছিয়ে দিতে হয়।’’
কমিশনের কর্তারা জানিয়েছেন, প্রথমত, তেলঙ্গানার ভোটার তালিকা সংশোধনে যে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছিল, তা খারাপ হওয়ায় চূড়ান্ত ভোটার তালিকা সম্পূর্ণ হয়নি। দ্বিতীয়ত, ওই ভোটার তালিকার কাজ শেষ হলে তা তেলঙ্গানা হাইকোর্টে জমা দিতে হবে। কোর্ট ছাড়পত্র দিলে তবেই তা ভোটে ব্যবহার হবে। গত কাল ওই রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। আজ একেবারে শেষ মুহূর্তে এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়। তৃতীয়ত, তামিলনাড়ুর মতো একাধিক রাজ্যে উপনির্বাচন সেরে ফেলারও পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু আজ সকালে তামিলনাড়ু জানায়, ওই সময়ে রাজ্যে বড় মাপের ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। তাই ওই দিনটি পাল্টাতে হয়। তাতেও বেশ কিছুটা সময় নষ্ট হয়।
যদিও কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা কলকাতায় বলেন, ‘‘রাজস্থানের জন্য একগুচ্ছ ঘোষণা করতেই প্রধানমন্ত্রীর সভা। তার সুযোগ করে দিতেই ভোটের দিন ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
তৃণমূলের একাংশের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের মতো ছোট রাজ্যে অনেক দফায় ভোট করানো হয়। অথচ এখন বড় রাজ্যে এক দিনে ভোট হচ্ছে। ভবিষ্যতে ভোটের নির্ঘণ্ট নিয়ে আলোচনায় প্রশ্ন তোলা হবে এ নিয়ে।