দলের ‘বিড়ম্বনা’ সোমনাথ ভারতীকে এ বার ঝেড়ে ফেলতে তৎপর হলেন আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরীবাল।
গ্রেফতারি এড়াতে আজ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আপ বিধায়ক। এর আগে পারিবারিক হিংসা মামলায় অভিযুক্ত সোমনাথ ভারতী হাইকোর্টেও গিয়েছিলেন। সেখানেও তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়।
তবে গোটা ঘটনায় যে ভাবে সোমনাথের সঙ্গে আপ শিবির জড়িয়ে পড়েছে, তাতে যারপরনাই অস্বস্তিতে কেজরীবাল। এর আগে বিভিন্ন প্রশ্নে দল সোমনাথের পাশে দাঁড়ালেও এই মামলার পর তাঁকে ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া আপ। তাই আজ কেজরীবালই টুইট করে বলেন, ‘‘সোমনাথের উচিত আত্মসমর্পণ করা। উনি কেন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন? কেন সোমনাথ জেলে যেতে এত ভয় পাচ্ছেন? গোটা ঘটনায় দলের জন্য বিড়ম্বনা সৃষ্টি করছেন।’’
কেজরীবাল এই পরামর্শ দিলেও বুধবার রাত পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করতে দেখা যায়নি সোমনাথকে। আজও সোমনাথের বিভিন্ন আত্মীয়ের বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যায় দিল্লি পুলিশ। চলতি সপ্তাহেই যাতে মামলাটি শীর্ষ আদালতে ওঠে তার জন্য সক্রিয় সোমনাথের আইনজীবীরা। তত দিন পর্যন্ত গা-ঢাকা দিয়ে থাকার কথাই ভেবেছেন সোমনাথ। তবে এই ঘটনায় দল যে তাঁর পাশে নেই, তা আজ কেজরীবাল স্পষ্ট করে দেওয়ার পরে সোমনাথ আত্মসমর্পণ করেন কি না, সেটাই এখন দেখার।
এর আগে প্রাক্তন আইনমন্ত্রী জীতেন্দ্র সিংহ তোমর ভুয়ো ডিগ্রিধারী প্রমাণিত হওয়ায় মুখ পুড়েছিল আপ সরকারের। সেখানেও সোমনাথের মতো একই ভাবে প্রথমে অভিযুক্তের পাশে দাঁড়িয়ে পরে সরে আসতে বাধ্য হন কেজরীবাল। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। যা দেখে আম আদমি পার্টির অন্দরে ব্যাখ্যা: মুখ্যমন্ত্রী নিজে স্বচ্ছ হলেও দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু লোককে অহেতুক বিশ্বাস করায় বারবার সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁকে। আর এতে বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে দল। সোমনাথ প্রসঙ্গে আক্রমণ শানাতে ছাড়েনি কংগ্রেস নেতৃত্বও। দলের নেতা অজয় মাকেন বলেন, ‘‘কেজরীবাল সবই বুঝতে পারেন, কিন্তু একটু দেরিতে।’’