মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে ‘অস্বস্তিকর প্রশ্ন’ করায় দুই উদ্যোগীকে আট ঘন্টা আটক করে জেরা করল পটনা পুলিশ!
পটনা পুলিশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালত ও মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন ওই দুই ব্যক্তি। যদিও পটনা পুলিশের দাবি, প্রশ্নকর্তাদের পরিচয় খতিয়ে দেখার জন্যই তাঁদের ডেকে কথা বলা হয়েছিল। গত পরশু রাতের ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরাও।
ঘটনার শুরু গত মঙ্গলবার, পটনার এস কে মেমোরিয়াল হলে বিহার আন্তপ্রেনর অ্যাসোসিয়েশনের চতুর্থ ‘স্টার্টআপ সামিট’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর ভাষণের পরে ‘প্রশ্নোত্তর পর্ব’ ব্যবস্থা ছিল। সেখানেই মধুবনীর বাসিন্দা নেমি কুমার স্টার্টআপ সংস্থাগুলিকে সরকারি তহবিল থেকে সাহায্য করার বিষয়ে ‘স্বচ্ছতা’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন। বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা সুরেশ শর্মা উদ্যোগীদের ব্যাঙ্কের তরফে হেনস্থার প্রসঙ্গ মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে আনতে চান।
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সরাসরি উত্তর এড়িয়ে যান। এরপর
মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে যেতেই পটনা পুলিশের ডিএসপি (টাউন) কৈলাশ প্রসাদ দুই উদ্যোগীকে ডেকে নিয়ে যান। অভিযোগ, তাঁদের দু’জনকে পুলিশের গাড়িতে চাপিয়ে গাঁধী ময়দান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে টানা আট ঘণ্টা ধরে চলে জেরা। অভিযোগ, কেন মুখ্যমন্ত্রীকে এমন ‘অস্বস্তিকর’ প্রশ্ন করা হল, তা নিয়ে রীতিমতো হেনস্থা করা হয় তাঁদের। নেমি কুমার ও সুরেশ শর্মার বাড়িতে গভীর রাতে পুলিশ পাঠানো হয়। এরপরে গাঁধী ময়দান থানা থেকে পিআর বন্ডে গভীর রাতে দু’জনকে ছাড়া হয়।
নেমি কুমারের অভিযোগ, ‘‘পুলিশ আমাদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করেছে, তা জোর করে লিখিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু আদতে আট ঘণ্টাধরে কোনও খাবার, জল দেওয়া হয়নি। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। বাথরুমে পর্যন্ত যেতে দেয়নি।’’