‘কার ভোট কোথায় যাবে’, বিতর্ক তুঙ্গে

কমিশন ব্যাখ্যা দিয়েছে, কর্মীদের ভুলে ওই বিভ্রাট হয়ে থাকে। তার মধ্যেই আবার এক চিহ্নের ভোট অন্য চিহ্নে চলে যাওয়া নিয়ে বিপ্লব মন্তব্য করেছেন বলে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে সিপিএম। ফলে, গোটা বিষয়টি ঘোরালো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:৩৩
Share:

বিধানসভা ভোটের মুখে ফের বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র (ইভিএম) ঘিরে বিতর্ক বাধল ত্রিপুরায়।

Advertisement

অম্পিনগর বিধানসভা কেন্দ্রের ৪৭ নম্বর বুথে ইভিএম এবং ভি ভি প্যাট পরীক্ষামূলক ভাবে ভোটারদের দেখানোর সময়ে ধরা পড়েছিল, একটি চিহ্নে বোতাম টিপলে ভোট চলে যাচ্ছে অন্য চিহ্নে! ত্রিপুরা বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেব এর আগে দাবি করেছিলেন, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও নিজের দলকে ভোট দিলে বিজেপি-র চিহ্নে তা চলে যাবে। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানিয়েছিল সিপিএম। এখন ইভিএমে বিভ্রাটের সঙ্গে বিপ্লবের ওই মন্তব্যের যোগসূত্র টেনে কমিশনের কাছে নালিশ জানিয়েছে তারা। কমিশন ব্যাখ্যা দিয়েছে, কর্মীদের ভুলে ওই বিভ্রাট হয়ে থাকে। তার মধ্যেই আবার এক চিহ্নের ভোট অন্য চিহ্নে চলে যাওয়া নিয়ে বিপ্লব মন্তব্য করেছেন বলে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে সিপিএম। ফলে, গোটা বিষয়টি ঘোরালো হয়েছে।

পরীক্ষা করতে গিয়ে ইভিএমে কী ঘটেছিল, তার বিবরণ দিয়ে কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর। ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক শ্রীরাম তরনী কান্ত জানিয়েছেন, মানুষের ভুলে ওই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সংশ্লিষ্ট জেলাশাসককে বলা হয়েছে তদন্ত করতে। ত্রিপুরায় ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা হিমন্তবিশ্ব শর্মা অবশ্য কটাক্ষ করেছেন, সিপিএম আগেই হেরে বসেছে! তাই ইভিএম নিয়ে অভিযোগ করছে! কিন্তু এর মাঝেই নয়া মাত্রা যোগ হয়েছে তেলিয়ামুড়ার একটি সভায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি বিপ্লবের মন্তব্যে। সিপিএম কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে যে ভিডিও ক্লিপিং পাঠিয়েছে, তাতে বিপ্লবকে বলতে শোনা যাচ্ছে— ‘‘কার ভোট কোথায় পড়বে, শুধু মোদীজি জানেন আর আমি জানি!’’ রাজ্যে প্রচারে প্রথম দফায় কাল, বৃহস্পতিবারই আসছেন মোদী। তার আগেই ইভিএম-বিতর্ক তুঙ্গে!

Advertisement

রাজ্যের অতিরিক্ত নির্বাচন আধিকারিক আজই বিজনবাবুকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘লাল সরকার’ ছবিটি দেখানোর ছাড় পাওয়ার জন্য কোনও আবেদন তাঁদের কাছে জমা পড়েনি। তাই ওই ছবি বা তার কোনও অংশ ভোটের প্রচারের সময় প্রদর্শন করা বিধিভঙ্গের সামিল বলেই কমিশন সূত্রের ব্যাখ্যা।

হিমন্ত আজই বিজেপি-আইপিএফটি জোটের তরফে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। সেখানে পৃথক রাজ্যের দাবির কথা নেই। বিজেপি এখন মধ্যস্থতা কমিটিকে সামনে রেখেই আইপিএফটি-র দাবি সামলাতে চায়। যৌথ বিবৃতি প্রকাশের সময়ে অবশ্য আইপিএফটি-র কেউ ছিলেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন