বাড়িতে বসেই ভোট দিতে চান? জেতাতে চান নিজের প্রার্থীকে? তা হলে চট করে দেখে নিন অ্যামাজনের ওয়েবসাইট। আর পাঁচটা পণ্যের মতো সেখানে রীতিমতো বিকোচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন।
গল্প নয়! গাঁটের কড়ি খসালেই এ বার ইভিএম পৌঁছবে আপনার বাড়িতে! ভোট দিন যত খুশি। জেতা-হারা সব আপনারই হাতে!
উত্তরপ্রদেশের ভোটে ফলাফল প্রকাশের পরেই দেশ জুড়ে ইভিএম বিতর্ক তুঙ্গে। গত কাল আরও পারদ চড়িয়েছেন আম আদমি পার্টির বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজ। দিল্লি বিধানসভায় ইভিএমের প্রটোটাইপে সফল ভাবে কারচুপি করে তাঁর দাবি, আসল মেশিনেও এটা করা সম্ভব। তবে সৌরভের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি বলেছেন, ‘‘আপ যে মেশিনে কারচুপি করেছে, সেটা খেলনা। বাজারে পাওয়া যায়।’’
সেই দাবি যে সত্যি, তা দেখিয়ে দিয়েছে পণ্য বিকিকিনির ওয়েবসাইটি। সেখানে ফলাও করে লেখা হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের বিবরণ। দাবি করা হয়েছে, আসল ইভিএমের মতো এটিও ভোট পড়লেই সংরক্ষিত হয়ে যায়। এক বার ভোটের পরে আসল মেশিনের মতো কন্ট্রোল ইউনিট আওয়াজ করে জানিয়ে দেয়, ভোট পড়ে গিয়েছে। তখন নতুন করে কন্ট্রোল ইউনিটের বোতাম না টেপা পর্যন্ত এখানেও ভোট দেওয়া সম্ভব নয়। এমনকী আসলের মতো এখানেও পাসওয়ার্ড ছাড়া দেখা যায় না ভোটের খতিয়ান।
আরও পড়ুন: সবার প্রিয় উমর খেলাতেও তুখোড়, জুনেই ছিল জন্মদিন
তা হলে কি গত কাল এই যন্ত্রেই কারচুপি করে দেখিয়েছেন আপ নেতা সৌরভ? ওয়েবসাইটে যে সংস্থা ওই ইভিএম বিক্রি করছে, লখনউয়ের সেই কিটস গুরু-র দাবি, সৌরভের মেশিন ও তাদের মেশিনের পার্থক্য রয়েছে। সংস্থার ম্যানেজার সঞ্জয়ের দাবি, ‘‘বেশ কয়েক বছর ধরে আমরা এই ইভিএম বিক্রি করছি। সাধারণ মানুষের যেমন কেনার উৎসাহ রয়েছে, তেমনি এই পণ্যের মূল খরিদ্দার ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র-ছাত্রীরা। বি-টেক পড়ুয়ারা প্রজেক্টের জন্য এই মেশিন কিনে নিয়ে যান।’’ তবে অনেকে মজার জন্যও এই ইভিএম কেনেন। সংস্থার দাবি, আসল ইভিএমের ধাঁচেই যন্ত্রটি বানানো। এর সুরক্ষাবিধি যদিও আসলের মতো কড়া নয়। মাদারবোর্ড, আই সি বা চিপ সবই চিনে তৈরি। মাঝে মধ্যেই মেশিন খারাপ হয়ে যায় বলে স্বীকারোক্তি সঞ্জয়ের।
খরচ কত? ওয়েবসাইট বলছে ১৭০০ টাকা। সঙ্গে লাগবে অতিরিক্ত ৮৫ টাকা। সেটা ইভিএমকে ভোটারের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার খরচ।