‘ডারউইনের থেকে ভাল দশাবতার তত্ত্ব!’

পঞ্জাবের জালন্ধরে লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটিতে বসেছে এ বারের বিজ্ঞান কংগ্রেস। গত কয়েক বছরের মতো এ বারও বিতর্কিত মন্তব্যের ধারা অব্যাহত রইল সেখানে। এ দিন নিজের দাবির সপক্ষে রাওয়ের ব্যাখ্যা, ডারউইনের তত্ত্বে বলা হয়েছে, কী ভাবে মানুষের বিবর্তন ঘটেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জালন্ধর শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৪:৪৭
Share:

পঞ্জাবের জালন্ধরে লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটিতে বসেছে এ বারের বিজ্ঞান কংগ্রেস।—ফাইল চিত্র।

উনিশ শতকে বিবর্তন তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেছিলেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন। কিন্তু তার বহু আগেই হিন্দু ধর্মগ্রন্থ ‘গীতা’য় উল্লিখিত দশাবতারে প্রাণিজগতের বিবর্তন বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করলেন অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জি নাগেশ্বর রাও। ১০৬তম বিজ্ঞান কংগ্রেসে তাঁর আরও দাবি, বিষ্ণুর দশাবতারে বলা বিবর্তন তত্ত্ব, ডারউইনের তত্ত্বের থেকে অনেকে বেশি উন্নতমানের।

Advertisement

পঞ্জাবের জালন্ধরে লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটিতে বসেছে এ বারের বিজ্ঞান কংগ্রেস। গত কয়েক বছরের মতো এ বারও বিতর্কিত মন্তব্যের ধারা অব্যাহত রইল সেখানে। এ দিন নিজের দাবির সপক্ষে রাওয়ের ব্যাখ্যা, ডারউইনের তত্ত্বে বলা হয়েছে, কী ভাবে মানুষের বিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু দশাবতারে ধাপে ধাপে বোঝানো হয়েছে বিবর্তন। কী রকম? রাও বলেন, ‘‘দশাবতার শুরু হচ্ছে ‘মৎস্য অবতার’ দিয়ে, জলজ প্রাণী। তার পর ‘কূর্ম অবতার’, অর্থাৎ কি না উভচর। যে জলেও বাঁচে, ডাঙাতেও। চতুর্থ অবতার ‘নরসিংহ’। অর্ধেক মানুষ ও অর্ধেক সিংহ। পঞ্চম অবতার ‘বামন’। আকারে ছোট মানুষ।’’ বলতে থাকেন রাও, ‘‘...শেষে এলেন রাম। এক জন সম্পূর্ণ মানুষ। তার পর কৃষ্ণ। আরও জ্ঞানী, বিচারক্ষমতা, কূটনৈতিক বুদ্ধিসম্পন্ন।’’

রাওয়ের বক্তব্য, পশ্চিমি তত্ত্বকে আধুনিক বলা হয়, কিন্তু সেখানে শুধু মানুষের বিবর্তন দেখানো হয়েছে। কিন্তু আমাদের বিজ্ঞানে আরও বিশদে বোঝানো হয়েছে, কী ভাবে জলজ প্রাণী থেকে মানুষের বিবর্তন ঘটেছে। তাঁর কথায়, ‘‘ দেশের সাধু-সন্ন্যাসীরা অনেক দূর ভাবতে পারতেন।’’

Advertisement

শুধু বিবর্তন তত্ত্বেই থামেননি অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। রামায়ণ-মহাভারত সম্পর্কেও নানা দাবি করেছেন তিনি। যেমন—কৌরবদের জন্ম স্টেম সেল থেকে, টেস্টটিউব প্রযুক্তির মাধ্যমে। হাজার হাজার বছর আগেই ভারতের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র ছিল ইত্যাদি। তিনি বলেন, ‘‘বিষ্ণুর হাতের সুদর্শন চক্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনে আবার তাঁর হাতে ফিরে আসত। এর থেকেই বোঝা যায় এ দেশে ক্ষেপণাস্ত্র নতুন কিছু নয়।’’ জানান, শুধু পুষ্পক-রথ নয়, রাবণের অন্তত ২৪ ধরনের বিভিন্ন মাপের, বিভিন্ন ক্ষমতাসম্পন্ন বিমান ছিল।

গত বছর বিজ্ঞান কংগ্রেসের অধিবেশনে মোদী সরকারের মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেছিলেন, বেদের তত্ত্বগুলি সম্ভবত আইনস্টাইনের বিখ্যাত ‘e=mc2’ সূত্রটির চেয়েও উন্নত। এর প্রমাণ তাঁর কাছে আছে বলেও সে সময় দাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি মন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন