National news

প্রাক্তন সেনাকর্তার বাড়িতে তাণ্ডব, নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

তাঁর স্ত্রী-ছেলেদের বেধড়ক মারধর করে হামলাকারীরা। ঘর-বাড়ি লন্ডভন্ড করে, হুমকি দিয়ে বেরিয়ে যায়।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৭ ১৩:০০
Share:

প্রতীকী ছবি।

মাস তিন আগের কথা। প্রাক্তন সেনা অফিসারের বাড়িতে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়েছিল কয়েকজন দুষ্কৃতী। তাঁর স্ত্রী-ছেলেদের বেধড়ক মারধর করে হামলাকারীরা। ঘর-বাড়ি লন্ডভন্ড করে, হুমকি দিয়ে বেরিয়ে যায়। অভিযোগ, সেই ঘটনার তিন মাস ঘুরতে চললেও এখনও বিচার পাননি প্রাক্তন সেনা অফিসার কর্নেল আরএস উপ্পল। ঘটনাটি ঘটেছিল বেঙ্গালুরুতে। বেঙ্গালুরু পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ আনলেন ওই প্রাক্তন সেনা অফিসার।

Advertisement

প্রাক্তন কর্নেলের অভিযোগ, বহু দিন ধরেই তাঁদের ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। বিষয়-সম্পত্তি বেচে বেঙ্গালুরু ছেড়ে চলে যেতে বলছিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশকে তখনই বিষয়টি বলা হয়। নিরাপত্তা বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়। কিন্তু পুলিশ তাঁদের অভিযোগকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়নি। আর সে কারণেই এত সহজে বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এমনকী হামলার পরেও পুলিশ বিষয়টিকে ভীষণ হালকা ভাবে নিয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। অভিযোগ, এফআইআর-ও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে লেখেনি পুলিশ, ফলে গ্রেফতারের এক দিন পরই অভিযুক্ত কয়েকজন দুষ্কৃতী জামিন পেয়ে যায়।

এই ঘটনা সামনে আসার পর সম্প্রতি পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ ফোন করেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে। তাঁকে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ করেন তিনি। ওই প্রাক্তন শিখ সেনা অফিসারের পরিবারকে এই বিষয়ে সাহায্য করবেন বলে অমরেন্দ্র সিংহকে আশ্বাস দিয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

আরও পড়ুন: অল্পের জন্য রেহাই পেলেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি

ঘটনাটি ঘটে ১৩ মে। প্রাক্তন সেনা অফিসারের বাড়িতে তাঁর স্ত্রী এবং দুই ছেলে ছিলেন। আচমকা বাড়িতে প্রবেশ করে দুষ্কৃতীরা। এই শিখ পরিবারকে পাকিস্তানি বলে গালিগালাজ শুরু করে তারা। তাঁদের বেঙ্গালুরু ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বলা হয়। তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁর স্ত্রী এবং দুই ছেলেকে বেধড়ক মারধর করে। হাতে, মুখে, মাথায় গুরুতর চোট পান তাঁরা। এমনকী বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ও অন্য দিন ফের আসার হুমকি দিয়ে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন