সনিয়া গাঁধী।
আহমেদ পটেলের প্রয়াণের পরেই প্রশ্ন উঠেছিল, তাঁর শূন্যস্থান কাকে দিয়ে পূর্ণ করবেন সনিয়া গাঁধী। শনিবার কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী কোষাধ্যক্ষ পদে রাজ্যসভার সাংসদ তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী পবন বনসলকে নিয়োগ করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী। বর্তমানে এআইসিসি-র প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা ৭২ বছরের বনসল এর আগে দলের মুখপাত্র হিসেবেও বেশ কিছু দিন কাজ করেছেন।
কংগ্রেসের সভাপতি পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। একই সঙ্গে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি এবং এআইসিসি-র অন্যান্য পদেও নির্বাচনের জন্য বেশ কিছু দিন ধরেই দাবি তুলেছেন কপিল সিব্বল-সহ বিক্ষুব্ধ নেতারা। এই অবস্থায় বনসলকে সাময়িক ভাবে কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হল।
কংগ্রেসের প্রবীণ ব্রিগেডের নেতা বনসল মনমোহন সিংহ সরকারের দ্বিতীয় জমানায় কয়েক মাসের জন্য রেলমন্ত্রী হন। তাঁর ভাইপো বিজয় সিংলার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার চক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে। বনসল যদিও ভাইপোর সঙ্গে তাঁর কোনও রকম যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেন। বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হতে তদন্তে নেমে সিবিআই বিজয়কে গ্রেফতার করে। তখনই অভিযোগ ওঠে, ভাইপো ও পরিবারের বেশ কয়েক জনের ব্যবসার জন্য ঋণ পাইয়ে দেওয়ার পিছনেও বনসলের প্রভাব রয়েছে। বনসল সেই অভিযোগও অস্বীকার করেন। তাঁকে সে সময় দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা জেরা করেও কোনও তথ্য পায়নি সিবিআই। তারা সরকারি ভাবেই সে কথা আদালতকেও জানায়। অভিযুক্ত হিসেবেও বনসলের নাম করেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু দলের ভিতরে-বাইরে এবং বিরোধীদের প্রবল চাপের মুখে রেল মন্ত্রক থেকে পদত্যাগ করেন বনসল। তার পর থেকেই দলের অন্দরে তাঁর
গুরুত্ব কিছুটা কমে যায়। আহমেদ পটেলের মৃত্যুর পরে তাঁকে অস্থায়ী কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করে সনিয়া ফের টেনে তুললেন পঞ্জাবের এই প্রবীণ নেতাকে।