তথ্য বিকৃতির অভিযোগ, কুলদীপের বইয়ের উদ্বোধন বয়কট মনমোহনের

প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে নিয়মিত ফাইল যেত সনিয়া গাঁধীর বাসভবনে— নিজের সর্বশেষ বই ‘লিডারস অ্যান্ড আইকন-ফ্রম জিন্না টু মোদী’-তে এ কথা লিখে গিয়েছেন সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৩১
Share:

ফাইল চিত্র

প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে নিয়মিত ফাইল যেত সনিয়া গাঁধীর বাসভবনে— নিজের সর্বশেষ বই ‘লিডারস অ্যান্ড আইকন-ফ্রম জিন্না টু মোদী’-তে এ কথা লিখে গিয়েছেন সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার। বিজেপি দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করেছে, সে সময় বকলমে সরকার চলত সনিয়ার বাসভবন থেকে। কুলদীপের বইয়ে নতুন করে সেই অভিযোগ উঠতেই সরব হলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। তথ্য বিকৃতির অভিযোগে কুলদীপের বইয়ের উদ্বোধন বয়কট করলেন মনমোহন। তাঁর মতে, বইয়ে যে তথ্য রয়েছে তা যথেষ্ট অস্বস্তিজনক। তাই ওই বই প্রকাশ অনুষ্ঠান না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Advertisement

আজই রাফাল কেনাবেচা নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাজে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের বিরুদ্ধে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কথায়, ‘মোদী সরকারের আমলে এ সব হয় না। কিন্তু ইউপিএ আমলে জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন সনিয়া গাঁধী। সেই সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর কাজে সরাসরি হস্তক্ষেপ করত।’’ ঘটনাচক্রে একই কথা শোনা গিয়েছে কুলদীপ নায়ারের বইয়েও।

আজ অনুষ্ঠানে বিতর্কিত বইয়ের ১৭২ নম্বর পৃষ্ঠা পড়ে শোনান কুলদীপের ছেলে রাজীব নায়ার। যাতে বলা হয়েছে, ‘মনমোহনের কোনও গণভিত্তি না থাকার কারণে সনিয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে বেছে নেন। যাতে সনিয়ার উপর নির্ভরতা থাকে মনমোহনের। সেই সময়ে সরকারি ফাইল সনিয়ার বাসভবন ১০ নম্বর জনপথে যেত। যেখানে আহমেদ পটেল তাঁকে (সনিয়াকে) কী ভাবে চলতে হবে, সে নিয়ে পরামর্শ দিতেন।’

Advertisement

ওই তথ্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আয়োজকদের চিঠিতে মনমোহন জানান, ‘১৭২ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, আমার প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ে সরকারি ফাইল সনিয়া গাঁধীর বাড়ি যেত। যা অসত্য। ওই তথ্য সঠিক কিনা, তা-ও কুলদীপ আমায় প্রশ্নে করে জেনে নেননি। তাই ওই বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে আমার উপস্থিতি থাকাটা অস্বস্তিজনক। তাই আমি সে দিন থাকছি না।’ আজ মনমোহনের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর সরকারের মন্ত্রী কপিল সিব্বল বলেন, ‘‘আমি কেন্দ্রে মন্ত্রী থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় বা ১০ জনপথ থেকে কখনই কোনও ফাইল চেয়ে পাঠানো হয়নি। এর থেকেই বোঝা যায়, কুলদীপ নায়ারের কাছে সব সঠিক তথ্য ছিল না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement