Facebook

ভারতের নয়া ডিজিটাল বিধি আংশিক মেনে চলতে শুরু করল ফেসবুক, গুগল ও হোয়াটসঅ্যাপ

গত বুধবার থেকে কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল নজরদারি বিধি চালু হয়েছে। নেটমাধ্যমে প্রকাশিত যাবতীয় লেখালেখি ও ভিডিয়োর উৎস কেন্দ্রকে জানাতে বাধ্য থাকবে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের মতো সংস্থাগুলি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২১ ২১:৩১
Share:

প্রতীকী ছবি

দেশের গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলি পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ভারত সরকারের নয়া ডিজিটাল বিধি মেনে চলতে শুরু করেছে। এতে রয়েছে ফেসবুক, গুগল ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো ব সংস্থাগুলি। শেয়ারচ্যাট ও কু-র মতো ভারতীয় সংস্থারাও তালিকায় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে আরেক টেক জায়ান্ট টুইটার এখনও নয়া বিধি মানা নিয়ে চুপচাপ রয়েছে।

গত বুধবার থেকে কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল নজরদারি বিধি চালু হয়েছে। যার আওতায় নেটমাধ্যমে প্রকাশিত যাবতীয় লেখালেখি এবং ভিডিয়োর উৎস কেন্দ্রকে জানাতে বাধ্য থাকবে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের মতো সংস্থাগুলি। ওই বিধি মেনে সংশ্লিষ্ট নেটমাধ্যমগুলিকে এক জন ‘অভিযোগ আধিকারিক’ নিয়োগ করতে হবে। সাইটে কোনও আপত্তিকর বিষয়বস্তু রয়েছে কি না, তা দেখার এবং প্রয়োজনে সরানোর দায়িত্বেই তিনি থাকবেন। ওই আধিকারিককে ভারতের নাগরিক হতে হবে বলেও জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়। তা ছাড়া, নেটমাধ্যমে প্রকাশিত লেখা, ছবি এবং ভিডিয়ো-র উৎস জানাতেও বাধ্য থাকবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি।

Advertisement

অন্যদিকে, নতুন ডিজিটাল বিধিগুলির একটি বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে ২৫ মে হোয়াটসঅ্যাপ ভারত সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। দিল্লি হাই কোর্টে করা আবেদনে হোয়াটসঅ্যাপ যুক্তি দিয়েছে যে এই নির্দেশিকার ফলে তাদের এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন ভেঙে যাবে এবং সংস্থাকে প্রতিটি ব্যবহারকারীর পোস্ট চিহ্নিত করতে হবে, যা সুপ্রিম কোর্টের ২০১৩ সালের গোপনীয়তার অধিকারের বিরোধী। এ ছা়ডাও নয়া বিধিতে বলা হয়েছে, নোডাল কন্টাক্ট পার্সন এবং গ্রিভান্স অফিসারকেও ভারতীয় হতে হবে।

জানা যাচ্ছে, ‘কু’ এই সমস্ত পদে ভারতীয় নাগরিকদের নিয়োগ করে ফেলেছে। মনে করা হচ্ছে অন্য সংস্থাগুলিও একই কাজ সেরে ফেলেছে। প্রতিটি সংস্থাই নতুন নিয়মের অধীনে কেন্দ্রের চাওয়া তথ্যাবলী সরবরাহ করেছে। টুইটার একটি ভারতীয় আইন সংস্থায় কর্মরত এক আইনজীবীকে নোডাল কনট্যাক্ট পার্সন ও অভিযোগ গ্রহণ পরিষেবার কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ করেছে। তবে এই নিয়োগ মান্যতা না-ও পেতে পারে। যে হেতু নিয়োগ হওয়া ব্যক্তিদের সংস্থারই কর্মী ও ভারতের নাগরিক হতে হবে। এ ছাড়াও টুইটারের তরফে এখনও ‘অভিযোগ আধিকারিক’ নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়েও কেন্দ্রকে অবহিত করা হয়নি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন