National news

প্রতিপক্ষ দলের নামে অপপ্রচার! বন্ধ করতে মনিটর করবে ফেসবুক, গুগলরা

কারণ রাজনৈতিক দল এবং তাদের সমর্থকদের নেতিবাচক বা ভুয়ো পোস্ট বন্ধ করতে বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে হাত মেলালো নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:৪৯
Share:

প্রতীকী চিত্র।

সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে আর প্রতিপক্ষকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা যাবে না। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভুয়ো খবরও প্রচার করা যাবে না। কারণ রাজনৈতিক দল এবং তাদের সমর্থকদের নেতিবাচক বা ভুয়ো পোস্ট বন্ধ করতে বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে হাত মেলালো নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

২০১৯ লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে ফেসবুক, গুগল, টুইটার, হোয়াটস‌্অ্যাপ এই চার সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই চার সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে নেতিবাচক বা ভুয়ো খবরে যাতে কোনও রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক দলের সমর্থকেরা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে না পারে, তার জন্যই নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগ।

বিগত কয়েক মাস ধরেই এই নিয়ে ওই চার সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছিল কমিশ। তাতে রাজি হয়েছে তারা। ফেসবুক, গুগল এবং টুইটার তাদের টাইমলাইনের প্রত্যিটা পোস্টকেই মনিটর করবে বলে জানিয়েছে কমিশন। যদি কোনও ভুয়ো খবর বা এমন কোনও পোস্ট টাইমলাইনে হয়, যা নেতিবাচক সঙ্গে সঙ্গেই সেই পোস্ট তারা ব্লক করে দেবে। এমনকি, নির্বাচনের দু’দিন আগে থেকে ‘সাইলেন্স পিরিয়ড’ বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এই সময়ের মধ্যে টাইমলাইনে যেমন রাজনীতি সম্বন্ধীয় কোনও পোস্ট করা যাবে না, তেমন ওয়েবসাইটে কোনও রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনও চলবে না।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘বিকট শব্দ, বাবা চাপা পড়ে গেল’

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাওয়ত বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন ওই তিনটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। গুগল, টুইটার, ফেসবুক তিনটি সংস্থাই তাদের প্ল্যাটফর্ম মনিটর করবে বলে জানিয়েছে। ফেসবুক, টুইটার, গুগল, হোয়াটস‌্অ্যাপ কোনওরকম নেতিবাচক পোস্ট বা ভুয়ো খবর ব্লক করে দেবে। এবং কোন পোস্ট ব্লক করা হবে তা সম্পূর্ণভাবে নির্ণয় করবে সোশ্যাল মিডিয়ায়গুলোই। নির্বাচন কমিশন সংস্থাগুলোকে কোনও নির্দেশ দেবে না।’’

আরও পড়ুন: সমকামিতা অপরাধ নয়, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

পাশাপাশি তিনি এও জানান, অনেক রাজনৈতিক দল টাইমলাইনে নিজেদের বিজ্ঞাপন চালায়। যাতে ইউজারদের বুঝতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার দিকেও যথেষ্ট লক্ষ্য রাখা উচিত। রাজনৈতিক দলগুলোর সমস্ত স্পনসরড বিজ্ঞাপনের উপরে ‘স্পনসরড’ শব্দ এবং কত টাকা দিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে তার উল্লেখ থাকবে। ফলে বুঝতে কোনও অসুবিধা হবে না ইউসারদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement