ভুয়ো ডিগ্রি মামলায় স্বস্তি পেলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। মঙ্গলবার স্মৃতির বিরুদ্ধে নিবার্চন কমিশনে যোগ্যতা নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্ট। আদালত সাফ জানিয়েছে, প্রাক্তন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীকে ‘অনাবশ্যক হেনস্থা’ করতেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হরবিন্দ্র সিংহ জানিয়ে দিয়েছেন, এই মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে স্মৃতিকে আর আদালতে ডাকা হবে না। গত বছর জুন মাসে আহমের খান নামে এক সাংবাদিক
অভিযোগ তোলেন, নিজের যোগ্যতা নিয়ে বিভিন্ন সময় নির্বাচন কমিশনের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন স্মৃতি। ২০০৪, ২০১১ এবং ২০১৪ সালে ভোটের সময় তিনি কমিশনের
কাছে দায়ের করা হলফনামায় এক এক বার এক এক রকম তথ্য দিয়েছেন।
ওই সাংবাদিকের অভিযোগ, ২০০৪ সালে লোকসভা ভোটের সময় স্মৃতি জানান, তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব করেসপন্ডেন্স থেকে ১৯৯৬ সালে বিএ পাশ করেছেন। আবার গুজরাত থেকে রাজ্যসভা ভোটে লড়ার সময় হলফনামায় জানান, তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা বি কম পার্ট ওয়ান। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের অমেঠি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন স্মৃতি। তখন আবার তিনি জানান, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওপেন লার্নিং-এ বি কম পার্ট ওয়ান অবধি পড়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারণের অভিযোগ তুলে তাঁকে আদালতের সমন পাঠানোর আর্জি জানান ওই সাংবাদিক। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে অভিযোগের পক্ষে প্রয়োজনীয় প্রমাণ দাখিল করতে নির্দেশ দেয়।
মঙ্গলবার আদালত জানিয়েছে, ১১ বছরের ব্যবধান একটা লম্বা সময়। এত দিন পরে মামলা দায়ের করায় অভিযুক্তের যোগ্যতার মূল প্রমাণ হারিয়ে গিয়েছে। যে সব প্রমাণ আছে তা বিচারের পক্ষে যথেষ্ট নয়। তাই অনর্থক এই মামলার বোঝা আর না টেনে খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে। আদালতের মতে, স্মৃতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী না হলে হয়তো তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলাটিই করতেন না অভিযোগকারী।