মুশিরুল হাসান প্রয়াত

অনেকটাই শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিলেন। রবিবার রাতে শরীর খারাপ হওয়ায় মাঝরাতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার সকালে সেখানেই মারা যান তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:০৭
Share:

ইতিহাসবিদ মুশিরুল হাসান।

প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ মুশিরুল হাসান মারা গেলেন। বয়স হয়েছিল ৭১। বছর দুয়েক আগে একটি পথ দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর থেকে অনেকটাই শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিলেন। রবিবার রাতে শরীর খারাপ হওয়ায় মাঝরাতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার সকালে সেখানেই মারা যান তিনি।

Advertisement

আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মুশিরুল ইতিহাস-গবেষণার পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলেছিলেন। জাতীয় মহাফেজখানার প্রধান, নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়ামের প্রধান, জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য এবং উপাচার্যের দায়িত্ব তার অন্যতম।

ইতিহাসবিদ মহিববুল হাসানের পুত্র মুশিরুলের জন্ম কলকাতায়। মহিববুল তখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। পরে তিনি আলিগড়ে চলে যান। মুশিরুলও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ ডি করে জামিয়া মিলিয়ায় শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে পড়িয়েছেন কেমব্রিজ, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, বার্লিনের ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজ, প্যারিসের সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন ইন্ডিয়া এবং সাউথ এশিয়া-তেও।

Advertisement

উদারমনস্ক বামপন্থী বলে পরিচিত মুশিরুলের গবেষণার বিষয় ছিল আধুনিক ভারতে সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি, দেশভাগ, নেহরু পরিবার এবং উপমহাদেশে ইসলামি সংস্কৃতি। ‘ন্যাশনালিজম অ্যান্ড কমিউনাল পলিটিক্স ইন ইন্ডিয়া’, ‘ইসলাম ইন দ্য সাবকন্টিনেন্ট’, ‘দ্য লেগ্যাসি অব আ ডিভাইডেড নেশন’ তাঁর বিখ্যাত বইগুলির কয়েকটি। সলমন রুশদির বই নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদ করেছিলেন বলে এক সময় যথেষ্ট হেনস্থা হয়েছিল মুশিরুলের। প্রতিবাদে চার বছর জামিয়ায় নিজের অফিসে যাননি তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement