পীযূষ গয়াল। ফাইল চিত্র।
বুলেট ট্রেনের ভাড়া রাজধানী এক্সপ্রেসের ভাড়ার ধাঁচেই হবে বলে আশ্বাস দিলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তবে আজ লোকসভায় বুলেট ট্রেন সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তরে রেলমন্ত্রী স্বীকার করে নেন, মুম্বই-আমদাবাদ রুটের কিছু জায়গায় স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তির কারণে জমি অধিগ্রহণে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
রেল সূত্রের বক্তব্য, ন্যূনতম আড়াইশো (দু’টি স্টেশন) থেকে সর্বাধিক তিন হাজার (মুম্বই-আমদাবাদ) পর্যন্ত টিকিটের ভাড়া রাখার কথা ভাবা হয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত, এগজিকিউটিভ শ্রেণির ভাড়া বেশি রাখা হবে। প্রসঙ্গত, দিল্লি-শিয়ালদা রাজধানীতে থ্রি টিয়ার এসি-র ভাড়া তিন হাজার টাকা (ফ্লেক্সি ফেয়ার)।
আজ লোকসভায় বুলেট ট্রেন প্রশ্নে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়তে হয় রেলমন্ত্রীকে। ওই ট্রেন নিয়ে রেলমন্ত্রকের কর্তাদের মধ্যেও মতপার্থক্য রয়েছে। এক দল যেখানে বুলেট ট্রেনের পক্ষে, তখন অন্য পক্ষের বক্তব্য, বুলেট ট্রেনের পরিবর্তে ঋণের টাকা দিয়ে রেলের সার্বিক পরিকাঠামো উন্নতি করা অনেক বেশি প্রয়োজনের। সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়টি যে বেশি প্রয়োজনীয় তা নিয়ে লোকসভায় সরব হন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জ্জুন খড়্গে। তোলেন ভাড়ার বিষয়টিও। তাঁর মতে, বুলেট ট্রেন বিদেশি ঋণে তৈরি হচ্ছে। ফলে টিকিটের দাম হবে আকাশছোঁয়া। যা সাধারণের আয়ত্তের বাইরে থাকবে। জমি অধিগ্রহণের কাজ কোথায় আটকে রয়েছে, তা নিয়েও রেলমন্ত্রীর ব্যাখ্যা দাবি করেন তিনি। রেলমন্ত্রীর যুক্তি, ঋণের সঙ্গে ভাড়ার সম্পর্ক নেই। কারণ, ওই বিদেশি ঋণ ৫০ বছরের জন্য ০.১ শতাংশ হার সুদে পেয়েছে ভারত। আর প্রথম ১৫ বছরে কোনও ঋণ শোধ দিতে হবে না রেলকে। তাই টিকিটের দাম নাগালে থাকবে বলে দাবি করেন তিনি। গয়ালের কথায়, ‘‘মুম্বই-আমদাবাদ রুটে বুলেট ট্রেন চালাতে ১৪৮৫ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা প্রয়োজন। ১২টি জেলায় অধিগ্রহণের কাজ চলছে। কিছু ক্ষেত্রে অধিগ্রহণে সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় কিছু মানুষ জমি দিতে আপত্তি জানাচ্ছেন।’’