প্রতিবাদ: দিল্লিতে পৌঁছেছে দেশের ২০৭টি কৃষক সংগঠনের মিছিল। দু’দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শুক্রবার সংসদ মার্গে সভা করতে চলেছে তারা। এপি
এক সপ্তাহ ধরে মহারাষ্ট্রের কৃষকদের লং মার্চে হাঁটার পরে বাড়ি ফিরেছিলেন কৃষ্ণর বাবা। ধকলটা নিতে পারেননি। কয়েক দিন পরেই বুকের ব্যথা। তিন দিন পরে কৃষ্ণর বাবা মারা যান।
আজ দেশের কৃষক সংগঠনের ‘দিল্লি চলো’-র ডাকে নাসিক থেকে সেই ১৮ বছরের কৃষ্ণই লাল ঝাণ্ডা হাতে রাজধানীতে হাজির হয়েছেন।
একা কৃষ্ণ নন। শুক্রবার দিল্লিতে কৃষকদের সমাবেশে বৃহস্পতিবার থেকেই গোটা দেশের হাজার হাজার কৃষক জমা হতে শুরু করেছেন। গত তিন মাসে এই নিয়ে তিন বার দাবিদাওয়া জানাতে রাজধানীতে হাজির হয়েছেন কৃষকরা। কৃষিঋণ মকুব, চাষের খরচের দেড় গুণ ফসলের দাম এবং চাষিদের সঙ্কটকে সামনে রেখে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি তুলছেন তাঁরা। বিক্ষোভ সমাবেশের উদ্যোক্তা, ২০০-রও বেশি কৃষক সংগঠনের মঞ্চ, সর্বভারতীয় কিসান সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটির নেতাদের দাবি, নরেন্দ্র মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়াতে এই মুহূর্তে প্রায় দুই লক্ষ চাষি ‘দিল্লি চলো’-র ডাকে সাড়া দিয়ে রাজধানীতে পৌঁছে গিয়েছেন।
কমিটির আহ্বায়ক হান্নান মোল্লা জানান, শুক্রবার সকালেই রামলীলা থেকে মিছিল করে সংসদ মার্গে পৌঁছবেন চাষিরা। পরে বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নেতারা কৃষকদের মঞ্চে হাজির হবেন। শরদ পওয়ার, অরবিন্দ কেজরীবাল হাজির থাকবেন। তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী, ডিএমকে-র কানিমোঝির আসার কথা। কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে আসতে পারেন। কমিটির অন্যতম নেতা যোগেন্দ্র যাদব বলেন, ‘‘আমরা প্রধানমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছি সভায় এসে চাষিদের দাবিকে সমর্থন জানানোর জন্য।’’ দিল্লি পুলিশ অবশ্য নানা ভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ কমিটির নেতা অভীক সাহার। তাঁর বক্তব্য, রামলীলা ময়দান থেকে মিছিলে বাধা, সমাবেশে ভিড় কমানোর চেষ্টা হচ্ছে। হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা চাষিদের বাস রাস্তায় আটকে দেওয়া হচ্ছে।
বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে চাষিদের উপরে গুলি চালানোর প্রতিবাদে গড়ে উঠেছিল সর্বভারতীয় কিসান সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি। দু’দিনের সমাবেশের প্রথম দিনে কৃষকরা দিল্লির রামলীলা ময়দানে জড়ো হন। সন্ধ্যা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।