কৃষকদের সমস্যা না মেটালে দেশজুড়ে আন্দোলনে নামবে তৃণমূল, বার্তা মমতার

পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদল পদ্মবিভূষণ পুরস্কার ফিরিয়ে দিলেন

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২০ ১৩:৫৭
Share:

বৃহস্পতিবার মমতা টুইটে লিখলেন, ‘কৃষকদের জীবন-জীবিকা নিয়ে মারাত্মক উদ্বেগে রয়েছি। ভারত সরকারের উচিত নয়া কৃষি বিল প্রত্যাহার করে দেওয়া। এই মুহূর্তে বিল প্রত্যাহার না করা হলে আমরা রাজ্য ও দেশজুড়ে আন্দোলনে নামব।’ গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

• কৃষক আন্দোলন, ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি বা করোনা টিকার মতো ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য দ্রুত সংসদের শীতকালীন অধিবেশন ডাকতে স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী।

Advertisement

কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে জট ক্রমে বাড়ছে।

Advertisement

বিক্ষোভ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার টুইট করে দেশ জুড়ে আন্দোলনে নামার ডাক দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার এই ঘোষণার কয়েক মুহূর্ত পরই সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাল, পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও শিরোমণি অকালি দলের প্রধান প্রকাশ সিংহ বাদল পদ্মবিভূষণ পুরস্কার ফিরিয়ে দিলেন। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের যে ভাবে ‘বঞ্চিত’ করেছে, তারই প্রতিবাদে বাদলের এই সিদ্ধান্ত বলে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার মমতা টুইটে লিখলেন, ‘কৃষকদের জীবন-জীবিকা নিয়ে মারাত্মক উদ্বেগে রয়েছি। ভারত সরকারের উচিত নয়া কৃষি বিল প্রত্যাহার করে দেওয়া। এই মুহূর্তে বিল প্রত্যাহার না করা হলে আমরা রাজ্য ও দেশজুড়ে আন্দোলনে নামব। আমরা প্রথম থেকেই এই কৃষক বিরোধী বিলের বিরোধিতা করে আসছি’।

বৃহস্পতিবার সকালেই কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। অমিতের বাসভবনে এই আলোচনার পর অমরিন্দর সিংহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘কেন্দ্র ও কৃষকদের মধ্যে আলোচনা চলছে। আমি এখানে কোনও সমাধান করতে আসিনি। আলোচনায় আমার অবস্থান স্পষ্ট করেছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে। কারণ,আন্দোলনের ফলে আমার রাজ্যের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে, দেশের নিরাপত্তায় প্রভাব পড়ছে।’’

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে অমিতের সঙ্গে দেখা করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমার। আলোচনা সেরে বেরিয়ে আসার সময় তিনি বলেন, ‘‘সরকার ক্রমাগত কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। আমি আশাবাদী, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সমস্যার সমাধান হবে।’’ কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে টুইট করেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি টুইটে লিখেছে, ‘কৃষি আইনের নামে যে কালা কানুন চালু করতে চাইছে সরকার, তা সম্পূর্ণ তুলে না নিলে তা ভারত ও ভারতীয় কৃষকদের প্রতি অবিচার করা হবে’।

ও দিকে দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ফের এক দফার আলোচনার জন্য পৌঁছে গিয়েছেন ৩২ টি সংগঠনের কৃষক নেতারা। সেখানে বৃহস্পতিবার আলোচনায় বসবেন তাঁরা। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কমিটি তৈরি করার প্রস্তাব ফিরিয়েছেন কৃষকরা। তাঁদের দাবি সম্পূর্ণ রূপে না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার থেকে নতুন করে নিরাপত্তার কড়াকড়ি বা়ড়িয়েছে দিল্লি পুলিশ। বিক্ষোভ রুখতে মোতায়েন করা হয়েছে ৪৫ কোম্পানি আধাসেনা।

বুধবার থেকেই নতুন করে কৃষক বিক্ষোভের পাশে দাঁড়াতে শুরু করেন প়ঞ্জাবের ক্রীড়াবিদ থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র তারকারা। অভিনেতা দিলজিৎ দৌশান্ঝথেকে হরভজন সিং, গ্রেট খালি-রা এককথায় পাশে দাঁড়িয়েছেন কৃষকদের। ফলে বিক্ষোভের চাপ যে সরকারের উপর প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে, তার আঁচ পাচ্ছে শাসকদলও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন