বিজয় মাল্য
ঋণখেলাপের জন্য নানা দিক থেকে নানা ভাবে চাপের মুখে তিনি। তবু যে দমবার পাত্র নন, ফের বুঝিয়ে দিলেন ব্রিটেন নিবাসী ব্যবসায়ী বিজয় মাল্য। এত দিনে তাঁর উপলব্ধি, খারাপ ইঞ্জিনই নিজের বিমান সংস্থা কিঙ্গফিশার এয়ারলাইন্সকে ডুবিয়ে ছেড়েছে। শুক্রবার এই নিয়ে একের পর এক টুইট করেছেন তিনি।
প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি নামে একটি সংস্থার তৈরি বিমানের ইঞ্জিনের ত্রুটি নিয়ে সম্প্রতি বিমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ তদন্ত শুরু করেছে। তা জানতে পেরে মাল্যর প্রতিক্রিয়া, এই তদন্ত হওয়ায় তিনি এতটুকু বিস্মিত নন। তাঁর দাবি, কিঙ্গফিশার এয়ারলাইন্সের ধসে যাওয়ার পিছনেও কাজ করেছে অভিযুক্ত ওই সংস্থার তৈরি বিমানের ইঞ্জিন। মুম্বইয়ে ইন্ডিগো সংস্থার একটি বিমানের ইঞ্জিনে কিছু দিন আগে আগুন ধরে গিয়েছিল। তদন্তে ডিজিসিএ জানতে পারে ওই বিমানটির ইঞ্জিন প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি সংস্থার তৈরি। সেই ঘটনা জানার পরেই মাল্যর এই টুইট। তিনি বলেছেন, ‘‘কিঙ্গফিশার এয়ারলাইন্সকে খারাপ ইঞ্জিন সরবরাহ করায় ওই সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হচ্ছে।’’ এ দিকে মাল্যর থেকে টাকা ফেরাতে অনড় তাঁকে ঋণ দেওয়া ব্যাঙ্কগুলির কনসর্টিয়ামও। অভিযোগ, দেশ ছাড়ার আগে কিংবা পরে নিজের স্ত্রী-সন্তানের নামে প্রায় ২৭৭ কোটি টাকা ব্যাঙ্কে ট্রান্সফার করেছেন তিনি।