আদিত্যপুর স্টেশনের সুরক্ষার ভার চান মহিলারা

এমনকি রেল ইয়ার্ডের নিরাপত্তার দায়িত্বও তাঁরা নিজেদের হাতে তুলে নিতে চান। সিনিয়র ডিসিএম বলেন, “রেলের কাজ যথেষ্ট পরিশ্রমসাধ্য। একই সঙ্গে এটা ২৪ ঘণ্টার কাজ। এ রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন মহিলারা পরিচালনা করায় এই স্টেশন দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছে।”

Advertisement

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৮ ০২:২৯
Share:

ট্রেনের জানলা থেকে দেখলে আর পাঁচটা স্টেশনের থেকে একটুও আলাদা মনে হবে না আদিত্যপুরকে। টাটানগরের ঠিক পরের স্টেশন। কিন্তু একটু ভাল করে স্টেশন চত্বরে নজর বোলালে বোঝা যাবে, এই স্টেশনটি অন্য আর পাঁচটা স্টেশনের থেকে রূপে-গুণে আলাদা। স্টেশনের টিকিট পরীক্ষক থেকে থেকে শুরু করে রিজার্ভেশন কাউন্টার, সর্বত্রই মহিলাদের দাপট। চক্রধরপুর স্টেশনের সিনিয়র ডিসিএম ভাস্করের কথায়, “পুরোপুরি মহিলা পরিচালিত স্টেশন হওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে আদিত্যপুর। স্টেশন ম্যানেজার-সহ বেশ কিছু পদে এখনও মহিলা কর্মী নিয়োগ বাকি।’’

Advertisement

আদিত্যপুরকে জামশেদপুর শহরেরই একটি স্টেশন বলা যায়। তা সত্ত্বেও চক্রধরপুর ডিভিশনের যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশন। এখানে শুধু সাধারণ যাত্রীরাই ওঠানামা করেন না, টাটা স্টিলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজও এই স্টেশনের রেল ইয়ার্ড ইউনিটের মাধ্যমেই করা হয়। ফলে এই রেল ইয়ার্ড ডিভিশনটিও খুবই ব্যস্ত। ভাস্করের মতে, সে কারণেই আদিত্যপুর স্টেশন পরিচালনার কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে সেই চ্যালেঞ্জ মহিলারা হাসিমুখেই নিচ্ছেন।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন এই স্টেশনের মহিলা কর্মীরা চাইছেন, আর দেরি না-করে দ্রুত পুরো স্টেশনই মহিলা পরিচালিত করে দেওয়া হোক। শুধু অফিসের কাজই নয়, রেলের ট্র্যাক পরীক্ষা করার কাজটিও মহিলারাই করতে চাইছেন। এমনকি রেল ইয়ার্ডের নিরাপত্তার দায়িত্বও তাঁরা নিজেদের হাতে তুলে নিতে চান। সিনিয়র ডিসিএম বলেন, “রেলের কাজ যথেষ্ট পরিশ্রমসাধ্য। একই সঙ্গে এটা ২৪ ঘণ্টার কাজ। এ রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন মহিলারা পরিচালনা করায় এই স্টেশন দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement