ক্ষমতা দখলে লড়াই পরিষদে

প্রকান্ত ওয়ারিশাদের অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরেও সাত দিন পার হয়ে গেল। রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিত এখনও এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় ৩০ সদস্যের উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদে অনিশ্চয়তা ছেয়ে আছে। থমকে গিয়েছে পরিষদের কাজকর্মও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাফলং শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৫৬
Share:

প্রকান্ত ওয়ারিশাদের অনাস্থা প্রস্তাব আনার পরেও সাত দিন পার হয়ে গেল। রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিত এখনও এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় ৩০ সদস্যের উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদে অনিশ্চয়তা ছেয়ে আছে। থমকে গিয়েছে পরিষদের কাজকর্মও।

Advertisement

বিজেপি শাসিত পরিষদের বর্তমান প্রধান দেবলাল গারলোসার ভাগ্য ঝুলছে সরু সুতোয়। কারণ বিজেপি থেকে সাসপেন্ড হওয়া প্রকান্তের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেছেন পরিষদের ১৫ জন সদস্য। প্রকান্তের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন প্রাক্তন পরিষদ প্রধান তথা একদা কংগ্রেস নেতা (এখন তিনি অগপ সদস্য) দেবজিৎ থাওসেন। ইতিমধ্যে বিজেপির তরফে পরিষদে নেতৃত্ব বদলের প্রস্তাবকে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। পরিষদের রাজনৈতিক অচলাবস্থা মেটাতে হাফলঙে এসে রাজ্য বিজেপির সভাপতি রঞ্জিত দাস স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেন, এই মুহূর্তে পার্বত্য পরিষদে নেতৃত্ব বদলের কোনও সম্ভাবনাই নেই। সিইএম দেবলাল গারলোসার নেতৃত্বেই পরিষদ চলবে। নেতৃত্ব বদলের কোনও প্রশ্নই নেই। বিজেপি ইতিমধ্যেই প্রকান্ত-সহ তিন সদস্যকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছে। রাজ্যের শাসক জোটের প্রধান বিজেপির রাজ্য সভাপতির সমর্থন পেয়ে পরিষদের সিইএম হিসেবে কোনও মতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন দেবলাল গারলোসা।

সম্প্রতি প্রকান্ত, থাওসেন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে নেতৃত্ব বদলের দাবি জানিয়েছেন। রাজ্যপাল এখনও এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় বিক্ষুব্ধ প্রকান্ত ওয়ারিশা গোষ্ঠী এ বার আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তবে রাজ্যপাল বিষয়টি নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন। অচলাবস্থা কাটাতে বিশেষ অধিবেশন ডাকতে পারেন রাজ্যপাল।

Advertisement

কেন্দ্রের আহ্বান। কেন্দ্রের সঙ্গে নাগা জঙ্গি সংগঠন এনএসসিএন (আই-এম)-এর শান্তিচুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার আগে মণিপুরের সংগঠন ইউনাইটেড কমিটি মণিপুর, আমুকো ও কমিটি অফ সিভিল সোসাইটিস কাংলেইপাককে আলোচনার আহ্বান জানাল কেন্দ্র। জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান তথা শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী আর এন রবি ২০ জানুয়ারি ওই তিন সংগঠনকে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন