হরিয়ানার ফরিদাবাদে শোনপেড় গ্রামে দুই দলিত শিশুকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই তদন্ত শুরুর আগেই প্রকারান্তরে অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব সামনে আনল হরিয়ানা পুলিশ। জানিয়ে দিল, বাইরে থেকে নয়, আগুন লেগেছে ঘরের ভিতর থেকেই।
মূলত ঠাকুর সম্প্রদায়ের গ্রাম শোনপেড়ে গত ২০ অক্টোবর গভীর রাতে এক দলিত দম্পতির বাড়িতে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই দম্পতির আড়াই বছরের ছেলে বৈভব আর এগারো মাসের মেয়ে দিব্যার। তাদের মায়ের অবস্থাও সঙ্কটজনক। তাঁর শরীরের ৭০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হাসপাতালে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁর স্বামী জিতেন্দ্রও রয়েছেন দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে।
সন্তানদের মৃত্যুর জন্য জিতেন্দ্র ওই গ্রামের এক রাজপুত পরিবারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন। তিনি জানান, ওই পরিবারের লোকজন অনেক দিন ধরেই তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে খুন করার হুমকি দিত। জিতেন্দ্রর পরিবারকে গ্রাম-ছাড়া করারও হুমকি দেয় তারা। এ দিন কিন্তু হরিয়ানা পুলিশের ফরেন্সিক দল জিতেন্দ্রর অভিযোগ কার্যত উড়িয়েই দিয়েছে। তদন্তকারীরা ঘরের মধ্যে থেকে একটি অর্ধেক ভর্তি কেরোসিনের বোতল উদ্ধার করেছেন। জানলার কাছ থেকে একটি আধপোড়া দেশলাই কাঠিও উদ্ধার করা হয়েছে। এই সব সূত্র থেকে তদন্তকারীরা নিশ্চিত, আগুন লেগেছে ঘরের ভিতর থেকেই। হরিয়ানা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, এই রিপোর্টই সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেবেন তাঁরা।