বিতর্কিত মন্তব্য রাজস্থানের মন্ত্রী মমতা ভূপেশের। ছবি: মমতা ভূপেশের টুইটার হ্যান্ডল থেকে
‘গো-মাতা’ হোক কিংবা হনুমানের বংশ পরিচয় খোঁজা! অথবা জাত-পাত-ধর্মের ভিত্তিতে বিচার। বিতর্কিত মন্তব্যে কার্যত বিজেপি নেতাদের একাংশ বেলাগাম। কিন্তু এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন রাজস্থানের কংগ্রেস নেত্রী তথা মন্ত্রী মমতা ভূপেশ। এক জনসভায় তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের প্রথম কাজ আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য। তারপর জনগণের জন্য।’’
এই মন্তব্যের পরই এ নিয়ে হইচই পড়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝরে পড়ে। পরে অবশ্য মমতা ভূপেশ বলেন, তার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তিনি ওই ভাবে বলতে চাননি। সবার জন্যই কাজ করবেন তিনি।
বিজেপিকে হারিয়ে কিছুদিন আগেই রাজস্থানে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস। অশোক গহলৌত মন্ত্রিসভায় একমাত্র মহিলা মন্ত্রী মমতা। এমবিএ ডিগ্রিধারী নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী মমতা একটি জনসভায় যোগ দিয়ে হিন্দিতে বলেন, ‘‘প্রথম কার্য হামারা হামারি জাতি কে লিয়ে, উসকে বাদ হামারি সমাজ কে লিয়ে, উসকে বাদ সর্ব সমাজ কে লিয়ে, সব কে লিয়ে।’’
আরও পড়ুন: শত্রুঘ্ন সিন্হা আর ‘ভিআইপি’ নন!
বাংলা মর্মার্থ করলে দাঁড়ায়, তাঁরা প্রথমে নিজের সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করবেন, তার পর সমাজের জন্য এবং সব শেষে জনগণের জন্য। যদিও পরে নানা মহল থেকে চাপের মুখে পড়ে নিজের বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন মমতা। বলেন, তিনি সবার জন্যই কাজ করবেন।
আরও পড়ুন: মোবাইলের নেশা ছাড়াতে মেয়েকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা বাবার
মমতা ‘বেরওয়া’ সম্প্রদায়ের। এই সম্প্রদায় তফসিলি শ্রেণিভুক্ত এবং রাজস্থানে তফশিলি জাতিভুক্তদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে। মূলত কৃষিকাজ এবং পশুপালনই জীবিকা এই সম্প্রদায়ের মানুষজনের। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা, এই বেরওয়া সম্প্রদায়ের মন পেতেই জনসভায় এমন কথা বলেছেন মন্ত্রী মমতা ভূপেশ।