অগস্ত্যকোদম।—ফাইল চিত্র।
শবরীমালার পথ সহজ হয়নি বিন্দু-কনকদুর্গাদের। সেই দক্ষিণী রাজ্যেই লিঙ্গ বৈষম্যের প্রাচীন প্রথা ভেঙে আজ অগস্ত্যকোদমে পা দিলেন প্রথমমহিলা পর্বতারোহী। সোমবার কেরলের দ্বিতীয় উচ্চতম এই শৃঙ্গ জয়ে যাত্রা শুরু করেন কে ধন্য সানাল। ২০১২-এর আইআইএস অফিসার, ৩৮ বছরের ধন্য তিরুঅনন্তপুরমের প্রতিরক্ষা মুখপাত্র।
অগস্ত্যকোদমে কানি জনজাতির পূজ্য অগস্ত্য মুনির বিগ্রহ রয়েছে। প্রথা ও বিশ্বাস অনুসারে, এত দিন সেখানে যেতে পারতেন না মেয়েরা। নভেম্বরে কেরল হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে বন দফতর মেয়েদের পর্বতারোহণের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
এই বছর পর্বতারোহণের জন্য অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করেছেন ৪০০০ জন। তাঁদের ১০০ মহিলা। ধন্যর কথায়, ‘‘প্রতিদিন ব্যায়াম করি। নিয়মিত ট্রেক করি। যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমি প্রস্তুত।’’ জানান, তাঁর একমাত্র আগ্রহ পর্বতারোহণে। স্থানীয় মানুষের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশ্য নেই। তাঁর কথায়, ‘‘প্রকৃতিকে বুঝতেই আমার এই যাত্রা।’’
আজ সকালে বোনাকড বেসক্যাম্পে ১০০ পর্বতারোহী ২০ জন করে পাঁচটি দলে ভাগ হয়ে ট্রেক শুরু করেন। অথিরামালা ও বোনাকড বেসক্যাম্পে ক্যান্টিন পরিষেবা ও মহিলা রক্ষীর পাশাপাশি ট্রেকারদের জন্য রয়েছে চিকিৎসা বিমার ব্যবস্থা।
এ দিন শ’খানেক কানি-মানুষ বোনাকড বেসক্যাম্পে জড়ো হয়ে গান গেয়ে প্রতিবাদ জানান। আদিবাসী মহাসভার প্রধান মহানন ত্রিবেণী বলেন, ‘‘প্রতিবাদ জানাচ্ছি, তবে কোনও পর্বতারোহীকে আটকানো আমাদের লক্ষ্য নয়। কারণ আমরা কোর্টের নির্দেশকে মান্য করি।’’