Assam Flood

১,১১৮টি গ্রাম এখনও জলের নীচে, মৃত্যু তিন জনের, বন্যায় ধুঁকছে অসম

অসমের কয়েকটি এলাকায় জলের স্তর কমতে শুরু করেছে। তবে এখনও ১,১১৮টি গ্রাম জলের নীচে। বহু ঘরবাড়ি, চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে তিন জনের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৩ ১২:৩৩
Share:

অসমের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতু, বিপর্যস্ত যোগাযোগ, পরিবহণ। ছবি: পিটিআই।

অসমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি এখনও। জলের স্তর কোথাও কোথাও নামতে শুরু করেছে বটে, কিন্তু বহু গ্রাম এখনও জলের নীচে। বন্যায় এখনও পর্যন্ত অসমে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

অসমে বন্যার কারণে চার লক্ষের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে, এটি চলতি বছরের বন্যার প্রথম পর্যায়। তিন জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করে নিয়েছে তারা।

বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত অসমের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বক্সা, বারপেটা, ডারাং, ধুবড়ি, গোয়ালপাড়া, কামরূপ, লখিমপুর, নলবাড়ি এবং উড়ালগুড়ি জেলা। এই জেলাগুলিতে ৪ লক্ষ ৭ হাজার ৭০০ জন বন্যা কবলিত। আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, রবিবার কিছু কিছু এলাকায় জলের স্তর নামতে শুরু করেছে। প্রশাসনের তরফে ১০১টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। বন্যাবিধ্বস্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্তত ৮১ হাজার ৩৫২ জনকে।

Advertisement

পরিসংখ্যান বলছে, অসমের মোট ১ হাজার ১১৮টি গ্রাম বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে। এই মুহূর্তে গ্রামগুলি জলের নীচে। ৮ হাজার ৪৬৯ হেক্টর চাষের জমি বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে অনেক ফসলও।

অসমের করিমগঞ্জ এলাকায় গত কয়েক দিনে ভারী বৃষ্টির কারণে ধস নেমেছে। ডারাং, শোণিতপুর, গোলাঘাট, কামরূপ, নলবাড়ি, কোকরাঝাড়ে বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে রাস্তাঘাট, সেতু। যার জেরে যোগাযোগ এবং পরিবহণ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে, তেজপুর এবং নিয়ামতিঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদীর জল এখনও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।

অবিশ্রান্ত বৃষ্টির জেরে ফুঁসে উঠেছিল অসমের ব্রহ্মপুত্র নদ। তাঁর একাধিক শাখানদীর জল বয়েছে দুকূল ছাপিয়ে। বিঘার পর বিঘা জমির ফসল, বসতবাড়ি সেই জলে ভেসে গিয়েছে। প্রতি বছরই অসমে বর্ষাকালে এমন বন্যা হয়ে থাকে। গত বছর বন্যার কারণে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন