অরুণাচলের জঙ্গলে বিমানের ধ্বংসাবশেষ

অরুণাচলের জঙ্গলে মিলল দ্বিতীয় বিশ্বযু্দ্ধের সময় নিখোঁজ হওয়া তিনটি বিমানের ধ্বংসাবশেষ। প্রশাসনিক সূত্রে খবর মিলেছে, চাংলাং জেলাসদর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে রাংলম এলাকায় জঙ্গলের মধ্যে বিমানগুলির টুকরো পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে একটি মালবাহী বিমান ও অন্যগুলি যুদ্ধবিমান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৬ ০৩:৩৫
Share:

অরুণাচলের জঙ্গলে মিলল দ্বিতীয় বিশ্বযু্দ্ধের সময় নিখোঁজ হওয়া তিনটি বিমানের ধ্বংসাবশেষ।

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রে খবর মিলেছে, চাংলাং জেলাসদর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে রাংলম এলাকায় জঙ্গলের মধ্যে বিমানগুলির টুকরো পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে একটি মালবাহী বিমান ও অন্যগুলি যুদ্ধবিমান। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, পুলিশ ওই ধ্বংসাবশেষের খবর পাওয়ার আগেই স্থানীয় মানুষ বিমানগুলির বিভিন্ন অংশ ভেঙে নিয়ে গিয়েছে। অনেকটাই পুরনো লোহার দরে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। বাকি জিনিস দিয়ে গ্রামবাসীরা বাসন বা অস্ত্র তৈরি করেছেন। গোংপা জোংসামের নেতৃত্বে গ্রামবাসীদের প্রতিনিধিদল এ নিয়ে স্থানীয় বিধায়ক পি খিমহুনের কাছে অভিযোগ জানান।

গোংপা জোংসাম জানান, বিধায়ক তাঁদের সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি গ্রামের শিকারিদের নিয়ে পরের মাসে জঙ্গল-পাহাড়ে অভিযান শুরু করবেন। তাঁদের আশা সেখানে আরও ৪-৫টি বিমানের ধ্বংশাবশেষ পাওয়া যাবে।

Advertisement

রাংলোম গ্রামের লাগোয়া এলাকায় গত সাত দশক ধরে পড়ে থাকা মালবাহী বিমান ঘিরে গ্রামে এখন বিভিন্ন লোকগাথাও তৈরি করেছে। গ্রামপ্রধান রেমগিম জুগলি জানান, তিনি তাঁর কাকার কাছে আকাশ থেকে বিমান খসে পড়ার কাহিনি শুনেছিলেন। গ্রামবাসীরা বিমানের দুই চালক-সহ সাত জনকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। জ্বলন্ত বিমানের মধ্যেই পুড়ে মারা যান সকলে।

সেই থেকে জঙ্গলে সাহেব ভুতের গল্পও চালু হয়েছে। জুগলি আরও জাননা, বিমানে বস্তা করে মিত্রবাহিনীর জন্য আফিম, চাল, শুকনো মাছ, খাবার নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। রাজ্যের সব চেয়ে দরিদ্র গ্রামগুলির একটি রাংলোমের বাসিন্দাদের আশা, বিশ্বযুদ্ধের বিমানের ধ্বংসাবশেষের খবর প্রচারিত হলে তাঁদের গ্রামে পর্যটক আসতে পারেন। পর্যটন ব্যবসা ভাল ভাবে শুরু হলে তাতে গ্রামবাসীদের লাভ হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন