রাতারাতি জম্মু-কাশ্মীরের অবস্থা বদলে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রের বিশেষ দূত দীনেশ্বর শর্মা।
জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগামী কাল, সোমবার থেকে আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছেন দীনেশ্বর। তার আগে রবিবার দিল্লিতে আইবি-র প্রাক্তন প্রধান বলেন, ‘‘আমার হাতে কোনও জাদুদণ্ড নেই যে রাতারাতি পরিস্থিতি বদলে যাবে। কাজের মধ্যে দিয়েই ভূস্বর্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবে আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছনো উচিত নয়। আমি চাই, আমার কাজ দিয়েই আমাকে বিচার করা হোক।’’
দীনেশ্বর জানিয়েছেন, সোমবার কাশ্মীরে পৌঁছে সেখানকার সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শুনবেন ও সুষ্ঠু সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন। তবে এই কাজটিকে বেশ কঠিন বলেই মনে করেন কেন্দ্রের বিশেষ দূত। তবে তিনি জানিয়েছেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতেও যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। দীনেশ্বরের কাজ আরও কঠিন করে তুলেছেন হুরিয়ত নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রের এই বিশেষ দূতের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না তাঁরা। বেসুরো গেয়ে রেখেছে পিডিপি-ও।
তবে কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আশাবাদী প্রাক্তন এই আইবি কর্তা। কাশ্মীরকে তাঁর ‘দ্বিতীয় বাড়ি’ হিসেবে বর্ণনা করে দীনেশ্বর বলেন, ‘‘আমি প্রথম যখন কাশ্মীরে ছিলাম, তখন থেকে আজ পর্যন্ত সেখানকার অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। কাশ্মীরিদের সেই ভ্রাতৃত্ববোধ, সহমর্মিতা— অর্থাৎ সেই কাশ্মীরিয়ত এখনও রয়েছে। সেই কারণে আমি আশাবাদী, নতুন কাশ্মীর গড়ার জন্য নিজের কিছু অবদান অন্তত রেখে যেতে পারব। যে কাশ্মীর শান্তি আর সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।’’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ আগেই জানিয়েছেন, কাদের সঙ্গে কথা বলবেন, তা দীনেশ্বরই ঠিক করবেন। এ দিন কেন্দ্রের বিশেষ দূত জানিয়েছেন, কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য সব পক্ষের সঙ্গেই কথা বলবেন তিনি। রাজ্য সরকারের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী দীনেশ্বর আলোচনা করবেন রাজনৈতিক নেতা এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। তবে তাঁর নিজস্ব একটি তালিকা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন দীনেশ্বর।