মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদী দমন স্কোয়াডের প্রধান হেমন্ত কারকারের হত্যাকাণ্ড, আজমল কাসভ এবং আফজল গুরুর ফাঁসি নিয়ে প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য দিলেন মহারাষ্ট্র পুলিশের প্রাক্তন আইজি এস এম মুশরিফ। যিনি ‘হু কিল্ড হেমন্ত কারকারে’ এবং ‘২৬/১১ তদন্ত : বিচারব্যবস্থাও কেন ব্যর্থ হল?’ শীর্ষক দু’টি বই লিখে জাতীয় রাজনীতিতে বিতর্ক তৈরি করেছেন।
মৌলালি যুব কেন্দ্রে সোমবার এক আলোচনাসভায় মুশরিফ তাঁর ওই দু’টি বইয়ের প্রতিপাদ্য বিষয় বক্তৃতায় ব্যাখ্যা করেন। যার নির্যাস মূলত চারটি। এক, আইবি এবং আরএসএসের যোগসাজশে ২০০৩ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ভারতে বহু বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। দুই, কারকারেও আইবি এবং আরএসএসের চক্রান্তের বলি হয়েছেন। তিন, ব্যালেস্টিক রিপোর্ট বলছে, যে বুলেটে কারকারের মৃত্যু হয়েছিল, তা আজমল কাসভের বন্দুক থেকে বেরোয়নি। চার, আফজলের ফাঁসির রায়ে লেখা হয়েছিল, তাঁর সঙ্গে সন্ত্রাসের যোগ পাওয়া যায়নি। কিন্তু পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের উপর ভিত্তি করে জনগণের বিবেককে তুষ্ট করার জন্য তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে।
মুশরিফের দাবি, কারকারে আইবি-র কথা না মেনে আইন অনুযায়ী মালেগাঁও-কাণ্ডের তদন্ত করেন এবং তাতেই একের পর এক আরএসএসের নেতা-কর্মীদের নাম উঠে আসে। কারকারে তাঁদের গ্রেফতারও করেন। এরই প্রতিশোধ নিতে ২৬/১১-র হামলায় চক্রান্ত করে আরএসএস এবং আইবি কারকারেকে হত্যা করে। এ বিষয়ে আরএসএসের মুখপাত্র জিষ্ণু বসুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘দেশবিরোধী শক্তিগুলো এখন পরস্পরের কাছাকাছি চলে এসেছে। তাদের পরোয়ানা মালদহের কালিয়াচক পর্যন্ত এসে গিয়েছে। এই ধরনের অনুষ্ঠান তারই বাজনা বাজাচ্ছে। কংগ্রেস এবং বিজেপি-র সরকার, দেশের শাসনব্যবস্থা, আইন, আদালত সব কিছুর মধ্যেই আরএসএসের ভূত দেখিয়ে এই বিপদের দিন মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।’’