এক সময়ের দুর্ধর্ষ জঙ্গি কুন্দন পাহনকে টাকা দিয়ে বিধায়ককে খুন করিয়েছিলেন তিনি— এমনই অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মন্ত্রী গোপালকৃষ্ণ পাতর ওরফে রাজা পিটারকে গ্রেফতার করল এনআইএ। সেই কাজে পিটারের শাগরেদ হিসেবে ধরা পড়েছে নিহত বিধায়কের দেহরক্ষী শেষনাথ সিংহ।
২০০৮ সালের ৯ জুলাই রাঁচীর কাছে তামাড়ের বুণ্ডুর একটি স্কুল চত্বরে সমাবেশে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক রমেশ সিংহ মুন্ডা। আচমকা হানা দেয় মাওবাদীরা। রমেশবাবুকে ঘিরে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। হামলায় বিধায়কের পাশাপাশি তাঁর দুই দেহরক্ষী, স্কুলের এক ছাত্রেরও মৃত্যু হয়। অভিযোগ উঠেছিল এলাকার ত্রাস মাওবাদী জঙ্গিনেতা কুন্দন পাহনের বিরুদ্ধে। কয়েক মাস আগে ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব পায় এনআইএ। গত কাল ধানবাদ থেকে শেষনাথকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অফিসাররা। তাকে জেরার পর বুণ্ডুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় রাজা পিটারকে। এনআইএ-র দাবি, রমেশবাবুর গতিবিধির খবর জঙ্গিদের দিয়েছিল শেষনাথ। বিধায়ককে খুন করতে জঙ্গিদের ‘সুপারি’ দেন রাজা পিটারই। তার বন্ধু সুনীল সোনারকে আটক করেছে এনআইএ। কয়েক মাস আগে আত্মসমর্পণ করে মূলস্রোতে ফিরেছে কুন্দন পাহন। রমেশবাবুর ছেলে বিকাশ মুন্ডা বলেন, ‘‘এনআইএ-র তদন্তে আস্থা রয়েছে। আশা করি এ বার সুবিচার পাব।’’