বুটা সিংহ
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা বুটা সিংহ প্রয়াত হলেন। শনিবার সকালে দিল্লির এমসে তিনি মারা যান বলে পরিবার সূত্রের খবর। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের সমস্যা নিয়ে গত অক্টোবরের শেষে হাসপাতালে ভর্তি হন ৮৬ বছরের এই প্রবীণ নেতা। তখন থেকেই কোমায় ছিলেন তিনি। লোধি রোডের সমাধিস্থলে অন্ত্যেষ্টির কাজ হবে বলে এ দিন তাঁর পরিবার জানিয়েছে।
তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ-সহ বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং প্রশাসনিক কর্তারা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ রাজস্থান, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীরা শোক প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীও। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে প্রশাসনের নানা গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন আট বারের সাংসদ বুটা সিংহ। পরে বিহারের রাজ্যপালও হন।
১৯৩৪ সালের ২১ মার্চ পঞ্জাবের জালন্ধরে জন্ম তাঁর। প্রথমে শিরোমণি অকালি দলের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও ১৯৬০ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। দলের সঙ্গে পথচলা সেই শুরু। ১৯৬২ সালে রাজস্থানের জালোর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রথম বার জয়ী হন। কংগ্রেসের দলিত নেতা হিসেবে পিছিয়ে পড়া এবং প্রান্তিক মানুষদের দাবি-দাওয়া নিয়ে লড়াই করেছেন তিনি। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এ দিন টুইট করে বলেন, ‘গরিব ও দলিতদের জন্য সারা জীবন কাজে নিয়োজিত ছিলেন বুটা সিংহ। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’
বিভিন্ন সময়ে রেল, বাণিজ্য, পরিবহণ, জাহাজ, ক্রীড়া-সহ কংগ্রেস সরকারের নানা মন্ত্রকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন বুটা। ইন্দিরা গাঁধীর জমানায় অমৃতসরে ‘অপারেশন ব্লু স্টার’ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। রাজীব গাঁধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ১৯৮৬ সালে তিনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হন। তবে তাঁকে নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। দুর্নীতির মামলায় নাম জড়ানোয় ১৯৯৮ সালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় তাঁকে।