সন্তোষমোহন দেব প্রয়াত

সকালে শিলচরের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর জীবনাবসান ঘটে। স্ত্রী প্রাক্তন বিধায়ক বীথিকা দেব চার মেয়েকে নিয়ে তখন পাশেই ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৭ ০৪:১৩
Share:

সন্তোষমোহন দেব

প্রয়াত সন্তোষমোহন দেব। অসমের বরাক উপত্যকার অতি কাছের মানুষ ‘রাণা দেব’ জাতীয় রাজনীতিতে নিজের সাংগঠনিক ক্ষমতার জোরেই হয়ে উঠেছিলেন কংগ্রেস অন্যতম ‘ট্রাবল-শ্যুটার’ সন্তোষমোহন দেব। বুধবার সকালে শিলচরের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর জীবনাবসান ঘটে। স্ত্রী প্রাক্তন বিধায়ক বীথিকা দেব চার মেয়েকে নিয়ে তখন পাশেই ছিলেন।

Advertisement

রাজ্যের বিজেপি সরকার প্রাক্তন এই কংগ্রেস নেতার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। কাল রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। রাজ্যে সরকারি ছুটিও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।

কিছু দিন ধরে তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন। বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। কাল ভোরে তারাপুরের দেব বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। সাড়ে ১০টায় শুরু হবে শোক মিছিল। গ্রামাঞ্চলের কর্মীদের কথা ভেবে কংগ্রেস অফিসেও নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। দেহ যাবে জেলা ক্রীড়া সংস্থা, বঙ্গভবন ও পুরসভায়ও। এই শিলচর পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকেই সরাসরি রাণা দেব পাড়ি দেন সংসদে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা শিলচরে রয়েছেন। আজ এসেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিতেশ্বর শইকিয়ার স্ত্রী হেমপ্রভা শইকিয়া। কাল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বরা শিলচরে আসছেন। রাহুল গাঁধীর আসার কথা।

Advertisement

আজ থেকে হাসপাতাল, দেব বাড়ি এবং কংগ্রেস অফিসে প্রিয়জনেরা ভিড় করেন। তাদের মধ্যে সবাই কংগ্রেস কর্মী এমন নন। সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠনের কর্মকর্তারাও যাচ্ছেন রাণাবাবু বা রাণাদাকে শ্রদ্ধা জানাতে। শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। সমবেদনা জানান সনিয়া ও রাহুল গাঁধী, সর্বানন্দ সোনোয়াল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্বজন-হারানোর ব্যথায় ব্যথিত।

রাণাবাবুর বাবা সতীন্দ্রমোহন দেব ছিলেন শিলচর পুরসভার সভাপতি, বিধায়ক, রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যও। ১৯৮০-তেই লোকসভা ভোটে লড়ে বিজয়ী। পরে ১৯৮৫, ১৯৮৯, ১৯৯১, ১৯৯৬ ১৯৯৯ এবং ২০০৪ সালেও সাংসদ হন। ১৯৮৬-এ রাজীব গাঁধী মন্ত্রিসভার পর্যটন ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন। প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্রের মতো দফতরেও প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। নরসিংহ রাও মন্ত্রিসভায় ইস্পাত দফতরের স্বাধীন দায়িত্ব পান। প্রথম ইউপিএ সরকারে ভারি শিল্প মন্ত্রী ছিলেন তিনি। ২০০৯-এর বিজেপির কবীন্দ্র পুরকায়স্থর কাছে পরাজিত হন। তার পর থেকে বয়সের কারণেই সক্রিয় রাজনীতি থেকে আস্তে আস্তে সরে যান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন