ত্রাণে নামলেন প্রাক্তন কুস্তিগির

কোচির ছেলে হানসু কেএইচএম। কুস্তিতে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হানসু এখন ব্যবসা করেন বেঙ্গালুরুতে। বন্যার এই ভয়াবহ অবস্থায় পরিচিতদের নিয়ে নেমে পড়েছেন ত্রাণকার্যে। আপাতত তিনি রয়েছেন কোচিতে। বেঙ্গালুরুতে একটি জায়গা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন ত্রাণ জমা দেওয়ার জন্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৮ ০৪:৪৫
Share:

হানসু

কোচির ছেলে হানসু কেএইচএম। কুস্তিতে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হানসু এখন ব্যবসা করেন বেঙ্গালুরুতে। বন্যার এই ভয়াবহ অবস্থায় পরিচিতদের নিয়ে নেমে পড়েছেন ত্রাণকার্যে। আপাতত তিনি রয়েছেন কোচিতে। বেঙ্গালুরুতে একটি জায়গা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন ত্রাণ জমা দেওয়ার জন্য। টাকা পাঠানোর জন্য দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর। ফেসবুকে আবেদন জানানোর পরে সাড়াও পেয়েছেন বিস্তর।

Advertisement

কোচি থেকে মঙ্গলবার ফোনে হানসু জানালেন, কেউ যদি দশ টাকাও দিতে চান, তা-ও তাঁরা নিচ্ছেন। তাঁর দাবি, এই মূহূর্তে বন্যা-দুর্গতদের জন্য সব থেকে বেশি প্রয়োজন জামাকাপড় আর স্যানিটারি ন্যাপকিন। তাঁদের টিমের এক এক জন এক একটি জেলার দায়িত্বে রয়েছেন বলে জানালেন হানসু। তাঁর দায়িত্বে রয়েছে এর্নাকুলম। কেরলে যে জেলাগুলি এই বন্যায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, তার মধ্যে এর্নাকুলমও রয়েছে। তবে এর্নাকুলমের কোচি শহরে জল নেমেছে বলে জানালেন হানসু। কিন্তু অন্যান্য অংশের অবস্থা খুবই খারাপ। পাশের জেলা আলাপুঝার চেঙ্গান্নুর এলাকার অবস্থা সব থেকে খারাপ। হাজারে হাজারে মানুষ আটকে রয়েছেন সেখানকার জলমগ্ন অঞ্চলে।

যে সব এলাকায় জল কমছে, সেখানে বাড়ি ফেরাও এখন সমস্যার। যাঁরা ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন, তাঁদের খুব দ্রুত বাড়ি ফেরার সম্ভাবনা নেই বলেই জানালেন হানসু। প্রথম কারণ, সাপের উপদ্রব। জানালেন, ইতিমধ্যেই সাপের কামড়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। জল সরে গেলেও যে পলি বাড়িতে পড়েছে, তা পরিষ্কার করতে হবে। বাড়ির পুরুষেরা তাই শিবিরে মহিলা এবং শিশুদের রেখে ঘর-বাড়ি সাফ করছেন। পানীয় জলের তীব্র অভাব। বিদ্যুৎও নেই। ট্রান্সফর্মার অকেজো। কবে সারানো হবে, এখনও কেউই বলতে পারছেন না। চেঙ্গান্নুরে মোবাইল টাওয়ারও খারাপ। তাই হানসুদের টিমের যাঁরা সেখানে ত্রাণ কার্যে ব্যস্ত, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগও করা যাচ্ছে না।

Advertisement

আরও পড়ুন: ২৬০০ কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ দাবি বিজয়নের

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন