জাতীয় সড়কগুলিতে অপরাধ রুখতে বিশেষ বাহিনী গড়ার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কারণ, এই সব সড়কে কোনও অপরাধের সঙ্গে একাধিক রাজ্য জড়িয়ে পড়লে, তদন্তের দায় নিয়ে যে ঠেলাঠেলি চলে সেটা মন্ত্রকের নজরে এসেছে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও দেখা যায় দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা। চলে চাপান-উতোর। জাতীয় সড়কের নিরাপত্তার জন্য আলাদা ও বিশেষ বাহিনী থাকলে এই সমস্যা কাটবে বলে মনে করছেন মন্ত্রকের কর্তারা।
সমস্যাটি দীর্ঘদিনের হলেও দু’দিন আগের একটি ঘটনায় টনক নড়েছে কেন্দ্রের। সোমবার রাতে গুরুগ্রামে অপহরণ করা হয় তরুণীকে। গাড়িতে ধর্ষণের পরে তাঁকে ফেলে দেওয়া হয় গ্রেটার নয়ডার কাছে। এই তদন্তের দায়িত্ব কার, তা নিয়ে একপ্রস্ত চোরাগোপ্তা দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে গুরুগ্রাম তথা হরিয়ানার পুলিশ বনাম উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডার পুলিশের মধ্যে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, ‘‘জাতীয় সড়কে প্রায়ই এমন ঘটে। গাড়ি থামিয়ে লুঠপাট করে দুষ্কৃতীরা অন্য রাজ্যে পালায়।’’ এই সমস্যা রুখতে একটি সুসংহত বাহিনীর কথা ভাবা হচ্ছে যারা শুধু জাতীয় সড়কগুলিতে অপরাধ দমনের কাজ করবে। অপরাধ দমন ছাড়াও গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ, দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার মতো বিষয়গুলিরও দায়িত্বও পালন করতে পারবে ওই বাহিনী।
তবে সমস্যাও রয়েছে। রেলের যেমন নিজস্ব রেল পুলিশ রয়েছে। আবার রাজ্যের হাতে জিআরপি। প্রায়ই এলাকা নিয়ে সংঘাতে জড়ায় দুই বাহিনী। যার ফায়দা নেয় দুষ্কৃতীরা। এই ক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটার আশঙ্কা থাকায় জাতীয় সড়কের কত কিলোমিটার পর্যন্ত ওই বাহিনীর অধিকারে থাকা উচিত, আর কোথা থেকে রাজ্য পুলিশের এক্তিয়ার শুরু হবে, তা নিয়ে রাজ্যগুলির পরামর্শ চেয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।