প্রতীকী ছবি।
দিল্লির একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের চার মহিলার দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। তাঁদের সকলকেই ছুরি দিয়ে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। উদ্ধার করা হয়েছে বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীর দেহও। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম দিল্লির মান্সরোভারে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই তাঁদের খুন হতে হয়েছে। তবে আততায়ী কে বা খুনের পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না তা এখনও কিছু জানায়নি পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকাল সওয়া ৭টা নাগাদ থানায় একটি ফোন আসে। এক মহিলা বিপদে পড়েছেন জানিয়ে পুলিশকে ঘটনাস্থলে আসতে বলা হয়। ফোনেই জানিয়ে দেওয়া হয় বাড়ির ঠিকানা। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তত ক্ষণে অবশ্য আততায়ী পালিয়ে গিয়েছে। ঘরে ঢুকে মেঝেতে চার মহিলার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বাড়ির ভিতরেই কিছু দূরে এক নিরাপত্তারক্ষীকেও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা ৫ জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতেরা হলেন, উর্মিলা (৬৫), সঙ্গীতা জিন্দাল (৩৫), অঞ্জলি জিন্দাল (৩৩), নূপুর জিন্দাল (৩৫) এবং নিরাপত্তারক্ষী রাকেশ (৫০)। সঙ্গীতা, অঞ্জলি এবং নূপুর হলেন উর্মিলার মেয়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, গতকালই এক মহিলা এই বাড়ি থেকে থানায় ফোন করেন। তিনি পুলিশকে জানান, বাড়ির পিছনের জমি বেচতে চান। কিন্তু আত্মীয়েরা বাধা দিচ্ছেন। তিনি আতঙ্কে রয়েছেন বলেও জানান। তা থেকেই পুলিশের অনুমান, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই খুন হতে হয়েছে তাঁদের। বাড়ি থেকে কোনও জিনিস খোয়া না যাওয়া এবং কোনও জোরজবরদস্তির চিহ্ন না থাকায় পুলিশের অনুমান, আততায়ী বাড়ির সদস্যদের পরিচিত।
তবে খুনের আগের দিন মহিলা পুলিশকে তাঁর নিরাপত্তার অভাবের কথা জানানো সত্ত্বেও পুলিশ কেন আগাম ব্যবস্থা নিল না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।