Manipur Clash

নতুন করে ভাঙচুর, আগুন ধরানোর চেষ্টা, আবার উত্তপ্ত মণিপুর, গুরুতর জখম ২

মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ২০০-৩০০ জনের একটি দল জমায়েত করে। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ এক বিজেপি বিধায়কের বাড়ি ভাঙচুর করার চেষ্টা চালানো হয়। পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

ইম্ফল শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২৩ ১২:১৩
Share:

মণিপুর হিংসার একটি ছবি। —ফাইল চিত্র।

নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মণিপুর। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরের ঘটনার খবর আসতে থাকে রাজ্যের বিষ্ণুপুর এবং চূড়াচাঁদপুর জেলা থেকে। অভিযোগ, সেনা শিবিরে ঢুকে অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে উন্মত্ত এক দল জনতা। তাঁদের নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ে পুলিশ। রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, নতুন করে ছড়িয়ে পড়া হিংসায় দু’জন ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন।

Advertisement

শুক্রবার বিষ্ণুপুর জেলার কোয়াকটা এবং চূড়াচাঁদপুর জেলার কাংভাইয়ে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। মধ্যরাত থেকে ইম্ফল পূর্ব জেলায় টহল দিতে নামে সেনা এবং পুলিশের যৌথ বাহিনী। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১০০০ জনের একটি দল জেলার অ্যাডভান্স হাসপাতালের নিকটবর্তী জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আবার মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ২০০-৩০০ জনের একটি দল জমায়েত করার চেষ্টা করে। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ এক বিজেপি বিধায়কের বাড়ি ভাঙচুর করার চেষ্টা চালানো হয়। ইম্ফল পশ্চিম জেলার ইরিংবাম থানায় আগুন ধরিয়ে অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ওই জেলার বিজেপি সভাপতি অধিকারীমায়ুম সারদা দেবীর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে উন্মত্ত জনতাকে নিরস্ত করে সেনা।

গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই রাজ্যে। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষ ঠেকাতে গত ৬ মে মণিপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। নামানো হয় সেনা এবং অসম রাইফেলস বাহিনীকে। কিন্তু তাতে কোনও ফল মেলেনি বলে অভিযোগ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন