প্রতীকী ছবি।
১ জুলাই থেকেই বাড়তে চলেছে মোবাইল ব্যবহারের খরচ। কারণ মোবাইল ব্যবহারে পণ্য এবং পরিষেবা— দু’ক্ষেত্রেই নতুন ভাবে কর বসতে চলেছে।
পণ্য করের হার ঠিক হয়ে গিয়েছিল আগেই। শুক্রবার এক বৈঠকে পরিষেবা করের হার ঠিক করে জিএসটি পরিষদ। তার পরেই মোবাইল ফোন ব্যবহারের উপর এই কর চাপানোর কথা ঘোষণা করে পরিষদ। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১ জুলাই থেকেই দেশের সমস্ত রাজ্যে জিএসটি চালু হতে চলেছে। এর ফলে নতুন মোবাইল ফোন কিনলে তাতে ১৮ শতাংশ কর দিতে হবে এবং মোবাইল ফোন বিলে দিতে হবে ১২ শতাংশ কর।
পরিষদ সূত্রে খবর, আগে ফোন বিলে ১৫ শতাংশ কর দিতে হত। কিন্তু জিএসটি অনুযায়ী মাসিক ফোন বিল ১ হাজার টাকা হলে গ্রাহককে এ বার থেকে অতিরিক্ত ৩০ টাকা কর দিতে হবে। একই ভাবে প্রিপেড গ্রাহকদের জন্য কমিয়ে আনা হচ্ছে টকটাইম।
আরও পড়ুন: পরিষেবাতেও বাঁধা হলো করের হার
জিএসটি পরিষদ জানিয়েছে, ১০০ টাকার প্রিপেড ভাউচারে এত দিন ৮৫ টাকা টকটাইম পাওয়া যেত। ১ জুলাই থেকে তা কমে দাঁড়াবে ৮২ টাকায়। সঙ্গে থাকছে নতুন মোবাইল ফোনে ১৮ শতাংশ কর। অর্থাৎ সব মিলিয়ে পণ্য এবং পরিষেবা— দু’ক্ষেত্রেই প্রভাব পড়বে গ্রাহকদের পকেটে।
ঘোষিত জিএসটিতে উদ্বিগ্ন টেলিকম সংস্থাগুলি। এতে গ্রাহকের সংখ্যা কমবে বলেই মনে করছেন টেলিকম সংস্থাগুলি। জিএসটি কমাতে টেলিকম সংস্থার পক্ষ থেকে পরিষদের কাছে লিখিত আবেদনও জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেলুলার অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (সিওএআই)-র ডিরেক্টর জেনারেল রাজন ম্যাথিউস। তিনি বলেন, ‘‘বাড়তি করে গ্রাহকের কাছে মোবাইল ফোন অনেকটাই দামি হয়ে যাবে। এতে একই সঙ্গে যেমন বিক্রি কমবে, অন্য দিকে গ্রাহকেরা ফোনে কথা বলার সময়সীমাও কমাবেন। ফলে টেলিকম সংস্থাগুলি তো ভুগবেই, উপরন্তু মোদীর ডিজিটাল ইন্ডিয়া এবং ক্যাশলেস ইন্ডিয়ার উপরেও তার প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’’
জিএসটি অনুযায়ী, টেলিকম, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পরিষেবা, ব্যাঙ্কিং ও আর্থিক পরিষেবা, বিমা, বার এবং বাতানুকুল রেস্তোরাঁতে ১৮ শতাংশ কর বসবে। বার এবং বাতানুকুল নয় এমন রেস্তোরাঁ, বিমানের বিজনেস ক্লাসের টিকিট, ১ থেকে ২ হাজার টাকা ভাড়ার হোটেলে ১২ শতাংশ কর বসবে এবং পরিবহণ, টিকা, ব্র্যান্ডেড জামাকাপড়, অ্যাপ নির্ভর ট্যাক্সি, রেলে এসি কামরার টিকিট ও বিমানের ইকোনমি ক্লাসের টিকিটের উপর ৫ শতাংশ কর বসবে।