এফটিআইআই

রাজনীতি করছেন রাহুল, দুষল কেন্দ্র

এফটিআইআই-এর অচলাবস্থা নিয়ে রাহুল গাঁধী রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ করল কেন্দ্র। ছাত্রদের আহ্বানে সম্প্রতি পুণে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এফটিআইআই)-য় গিয়েছিলেন রাহুল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৫ ০৩:১২
Share:

এফটিআইআই-এর অচলাবস্থা নিয়ে রাহুল গাঁধী রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ করল কেন্দ্র।

Advertisement

ছাত্রদের আহ্বানে সম্প্রতি পুণে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (এফটিআইআই)-য় গিয়েছিলেন রাহুল। চেয়ারম্যান পদে গজেন্দ্র চৌহানের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছিলেন। আজ কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌর বলেন, ‘‘কেন্দ্র বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি চায়নি। তবে শুরুতেই বোঝা যাচ্ছিল, এক দল পড়ুয়া অচলাবস্থাই চাইছেন। এ বার রাহুলও পুণে গিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, প্রতিবাদে রাজনৈতিক রং রয়েছে। হয়তো শুরু থেকেই এটা একটা রাজনৈতিক চাল ছিল।’’

পুণে থেকে বিক্ষোভ পৌঁছে গিয়েছে দিল্লিতেও। এফটিআইআই-এর ৮০ জন ছাত্রছাত্রী আজ যন্তর-মন্তরের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেন। তাঁদের সমর্থনে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাজ বব্বর, জেডিইউ নেতা কে সি ত্যাগী, সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম-সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। বিক্ষোভরত ছাত্ররা অবশ্য রাজনৈতিক সংশ্রবের অভিযোগ মানতে চাননি। ছাত্র সংগঠনের এক সদস্য বলেন, ‘‘জানি সরকার আমাদের মতাদর্শ নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলছে। কিন্তু আমরা চাপের মুখে মাথা নতকরব না।’’

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে সংবাদ সংস্থা-সূত্রে আজ জানা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো একটি বিবৃতির কথা। তথ্য জানার অধিকার আইনে একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই ওই বিবৃতিটি উঠে এসেছে। নীচে কারও সই না থাকলেও ওই বিবৃতি এফটিআইআই কর্তৃপক্ষেরই পাঠানো বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বক্তব্য। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুণেতে বর্তমান অচলাবস্থার বীজ লুকোনো ছিল বছর দুয়েক আগেকার একটি ঘটনায়। সে দিন অনন্ত পটবর্ধনের একটি তথ্যচিত্র দেখানোর সময় এফটিআইআই-এর ছাত্রদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র বিরুদ্ধে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ বারের প্রতিবাদে পরিচালক পটবর্ধন ধর্মঘটী ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আবার এবিভিপি-ও মাঝেমধ্যেই ছাত্র অসন্তোষ নিয়ে সক্রিয় হয়েছে। এ সবেরই প্রভাব পড়েছে বর্তমান পরিস্থিতিতে।

এ দিন রাজ্যবর্ধন বলেন, ‘‘ছাত্ররা জড়িত বলেই গত পঞ্চাশ দিনে কারও বিরুদ্ধে কোনও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আগে প্রতিষ্ঠানকে গড়তে হবে। আমাদের আলোচনার দরজা খোলা। জট কাটাতে হলে তা ছাত্ররা, প্রশাসন এবং সরকার মিলেই করবে। কোনও রাজনৈতিক দল নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন