স্বাধীনতা দিবসে যোজনা কমিশন ভাঙার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ বার প্রায় ২৫ বছরের পুরনো আঞ্চলিক ট্রান্সপোর্ট অফিসার (আরটিও) রাখার ব্যবস্থাটিও ভেঙে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় ভূতল পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। মঙ্গলবার পুণেতে এক সম্মেলনে তিনি বলেন, “এমন অনেক বস্তাপচা আইন ও রীতি আছে, যেগুলি তুলে দেওয়া দরকার। যেমন আরটিও।” কেন? মন্ত্রীর মতে, “আরটিও-কে কেন্দ্র করে টাকার খেলা চলে।” কিন্তু এর বিকল্প ব্যবস্থা কী হবে, তার কোনও ইঙ্গিত দেননি গডকড়ী। শুধু বলেছেন, “এর জন্য নতুন আইন তৈরি করতে হবে।”
গডকড়ীর মতামতের ব্যাপারে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে চাননি রাজ্যের পরিবহণ দফতরের কর্তারা। তাঁরা বলেন, “আরটিও তুলে দিলে তার বিকল্প কী হবে, তা না-জানা পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা উচিত হবে না।” তাঁদের বক্তব্য, আঞ্চলিক অফিস তুলে দিলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না। কারণ, এই ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ না-হলে তার সুফল কোনও ভাবেই সমাজের নিচু তলায় পৌঁছবে না।
এ দিন লোকসভায় আরটিও ব্যবস্থা ঢেলে সাজার কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় ভূতল পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী কে এইচ মুনিয়াপ্পা। তিনি জানান, কেন্দ্রের অধীনে রাজ্যে তথ্যভাণ্ডার তৈরি হবে। সেই তথ্যভাণ্ডারের সরাসরি যোগসূত্র থাকবে দিল্লির কাছে। নতুন মোটরযান আইন তৈরি হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। সেই আইন মেনে রাজ্যগুলি নিজেদের মতো বিধি তৈরি করে। সব রাজ্যেই থাকে ‘স্টেট ট্রান্সপোর্ট অথরিটি’। সেই সংস্থার অধীনে থাকেন আরটিও-রা। তাঁদের হাতে লাইসেন্স, পারমিট, বাস-ট্যাক্সি-অটোরিকশার রুট এবং কর আদায়ের ক্ষমতা দেওয়া থাকে।