প্রতীকী ছবি।
পরিবার হারিয়ে বছর চারেক হল তিনি মন্দিরের সাধ্বী হয়েছেন। বিশ্বাসে ভর করে শুধুমাত্র সাধ্বী হওয়ার জন্যই ঘরবাড়ি ছেড়ে ওডিশা থেকে চলে এসেছিলেন মথুরায়। মথুরার সেই রাধারানি মন্দিরেই গণধর্ষণের শিকার হতে হল তাঁকে। গণধর্ষণ করল মন্দিরেরই দুই কর্মচারী।
পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই মহিলা। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মথুরা জেলার রাধারানি শ্রীজি মন্দিরে। এই ঘটনায় কানহাইয়া যাদব নামে মন্দিরের এক নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খোঁজ চলছে রাজেন্দ্র ঠাকুর নামে আর এক অভিযুক্তের। রাজেন্দ্র মন্দিরের রাঁধুনি। পুলিশের বিরুদ্ধেও অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছেন ওই মহিলা।
পুলিশ জানিয়েছে, ৪৫ বছরের ওই মহিলা ওডিশার বাসিন্দা। কয়েক বছর আগে তাঁর স্বামী এবং পুত্র মারা যান। তার পরেই তিনি এই মন্দিরের সাধ্বী হন। দিনের মন্দিরের কাজকর্ম সারার পর তিনি মন্দিরের বারান্দাতেই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত বাড়লে মন্দির চত্বর ফাঁকা হয়ে যায়। আর তখনই ঘুমের মধ্যে মুখ চেপে ধরে জোরজবরদস্তি তাঁকে অন্য একটি ঘরে নিয়ে যায় দুই কর্মী। সেখানেই তাঁকে গণঘর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: অপহরণের ‘নাটক’, বাবার কাছে মুক্তিপণ চাইল ছেলে!
এর পর দিনই ওই মহিলা মথুরা থানায় যান। কিন্তু, অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়ার বদলে কর্তব্যরত পুলিশকর্মী তাঁর সঙ্গে অসহযোগিতা করে বলে অভিযোগ করেন। পরে সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি সামনে আসায় ঘটনার তিন দিন পর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পুলিশ ওই মহিলার অভিযোগ নেয়।
মথুরা থানার কর্তব্যরত এক অফিসার জানান, ভাষা সমস্যার জন্যই তাঁরা প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারেননি। তাই নাকি অভিযোগ নেওয়া হয়নি। কেন অনুবাদকের সাহায্য নেওয়া হল না? এর কোনও জবাব মেলেনি।
মথুরার এসএসপি স্বপনীল ম্যানগায়েন জানান, ওই মহিলাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর ভাষা বোঝার জন্য অনুবাদক আনা হয়েছে। মন্দিরের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পর এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তও শুরু হয়েছে। পুলিশি অসহযোগিতার অভিযোগ সত্যি হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সারা দেশ এখন গুরমিত রাম রহিম সিংহের সাধ্বীদের ঘর্ষণের ঘটনায় তোলপাড়। রাম রহিম আপাতত জেলবন্দি। এই সময়ে আরও সাধ্বী ধর্ষণের ঘটনা সামনে এল।