গোমাংস খাওয়ার অভিযোগে উত্তরপ্রদেশের দাদরিতে মহম্মদ আখলাককে পিটিয়ে খুন।
রাজস্থানের আলওয়ারে অবৈধ ভাবে গরু পাচারের অভিযোগে খুন পেহলু খান।
গরু চোর সন্দেহে অসমে দুই সংখ্যালঘুকে হত্যা।
গো-রক্ষার নামে জম্মু-কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় এক যাযাবর পরিবারকে মার। রড দিয়ে মার ওই পরিবারের ন’বছরের মেয়েকেও।
অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলায় গো-রক্ষকদের হাতে নিগ্রহের শিকার দুই দলিত ভাই।
গুজরাতের উনায় মৃত গরুর চামড়া ছাড়ানোর ‘অপরাধে’ দলিতদের উপর অত্যাচার।
দেশ জুড়ে গো-রক্ষকদের এমন তাণ্ডবে সমালোচনার মুখে পড়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। আর সমালোচনার মুখে পড়ে এ বার এই বিতর্ক থেকে দূরত্ব বজায় রাখার কৌশল নিল কেন্দ্রীয় সরকার। রবিবার এই কাজে মাঠে নামলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। তিনি জানালেন বিজেপি এবং আরএসএস গো রক্ষাকে সমর্থন করে। গো-রক্ষার নামে গুন্ডামিকে নয়। তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি মনে করে গরুকে হত্যা করা উচিত নয়। সেই কারণে গো-রক্ষাকে আমরা সমর্থন করি। কিন্তু গো-রক্ষার নামে যা কিছু হচ্ছে, আমাদের দল, আমাদের সরকার, আমাদের মন্ত্রীরা তাকে সমর্থন করে না। আপনি আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না।’’
গো-রক্ষার নামে হিংসা থামানোর নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। গো-রক্ষকদের তাণ্ডবের নিন্দা করেছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও। তবুও লাগাম পরানো যাচ্ছে না গো রক্ষকদের গুন্ডামিতে। আর এই সব ক্ষেত্রে অভিযোগের তির বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের দিকে। এ দিন তারও জবাব দিয়েছেন গডকড়ী। তিনি বলেন, ‘‘আইন ভেঙে কেউ ধরা পড়লেই টিভিতে বলে দেওয়া হয় সে বিজেপির লোক। টিভিতে এই সব দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। কিন্তু ওই সব লোকের সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।’’
গডকড়ী যে যুক্তিই দিন না কেন, গো-রক্ষকদের তাণ্ডবের জন্য বিরোধীরা কিন্তু কাঠগড়ায় তুলছে বিজেপিকেই। মায়াবাতীর দাবি, গো- রক্ষার নামে বিজেপি গরিবদেরই নিশানা করছে। বাম এবং কংগ্রেস অভিযোগ আনছে ধর্মীয় মেরুকরণের। এই সমালোচনার উত্তরে গডকড়ী বলেন, ‘‘বাম এবং হিন্দুত্ব-বিরোধী ব্রিগেডের কাজই হলো এই সব ঘটনার জন্য আমাদের দায়ী করা। কিন্তু এগুলি ঠিক নয়।’’