‘চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ’ রাওয়তই

৩১ ডিসেম্বর সেনাপ্রধানের পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন রাওয়ত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:১৫
Share:

ছবি: পিটিআই।

ভারতের প্রথম ‘চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ’ হিসেবে বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়তের নাম আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। ৩১ ডিসেম্বর সেনাপ্রধানের পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন রাওয়ত। দায়িত্ব নেবেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভনে। গত কাল সেনা বিধি সংশোধন করে ‘চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ’ (সিডিএস) নিযুক্ত করার পথ তৈরি করে কেন্দ্র। পাশাপাশি সিডিএস ও সশস্ত্র বাহিনীর তিন প্রধানের অবসরের বয়স ৬৫ বছর করা হয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি সিএএ-বিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন রাওয়ত। তার পরেই পদের সীমারেখা লঙ্ঘন করে রাজনীতি নিয়ে মুখ খোলার জন্য তাঁকে সরানোর দাবি করে কংগ্রেস। রাওয়ত নিজের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতেই সরকারের হয়ে সওয়াল করছেন কি না, সেই প্রশ্নও ওঠে। আজ জেনারেল রাওয়তই সিডিএস হওয়ায় ফের সরকারকে নিশানা করেছে কংগ্রেস।

আরও পড়ুন: ১১৯ বছরে শীতলতম দিল্লি, মৃত ৬ দুর্ঘটনায়

Advertisement

চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ

• তিন বাহিনীর যৌথ বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মূল পরামর্শদাতা।
• সামরিক কমান্ডের দায়িত্ব নেই।
• প্রতিরক্ষা ক্রয় পরিষদ ও প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা কমিটির সদস্য।
• প্রতিরক্ষা ক্রয় পরিকল্পনা কার্যকর করবেন।

এ দিন সিডিএসের ভূমিকা নিয়েও এ দিন ফের ব্যাখ্যা দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তিন বাহিনীর প্রধানকে নিয়ে তৈরি চিফস অব স্টাফ কমিটির সিডিএস-ই হবেন স্থায়ী প্রধান। তিন বাহিনীর যৌথ বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মূল সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন তিনি।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দেওয়া ব্যাখ্যা অনুযায়ী,

• তিন বাহিনীর যৌথ বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মূল পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করবেন সিডিএস।

• তিন বাহিনীর যৌথ মঞ্চের (ট্রাই-সার্ভিস অর্গানাইজেশন) প্রশাসনিক দায়ভার থাকবে সিডিএসের হাতে। ওই মঞ্চগুলির সামরিক কমান্ড অবশ্য নির্দিষ্ট বাহিনীর প্রধানের হাতেই থাকবে। সাইবার ও মহাকাশ কমান্ডের দায়িত্ব অবশ্য পুরোপুরি থাকবে সিডিএসের হাতে।

• প্রতিরক্ষা উপকরণ ক্রয় পরিষদ ও প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করবেন সিডিএস। তিন বাহিনীর যৌথ বক্তব্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।

• অভিযান, পরিবহণ, প্রশিক্ষণ, সহায়ক পরিষেবা, যোগাযোগ, মেরামতির বিষয়ে বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়াবেন।

• পরিকাঠামোর পূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করবেন।

• দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি উপকরণের ব্যবহার বাড়াবেন।

• জরুরি অবস্থার জন্য তৈরি পরিকল্পনার মূল্যায়‌ন করবেন।

• প্রতিরক্ষা উপকরণ ক্রয় পরিকল্পনা কার্যকর করবেন।

• আন্তর্জাতিক সহযোগিতার পরিকল্পনা মূল্যায়ন করবেন।

• সামরিক বিষয়ে কৌশল তৈরি করে সরকারের কাছে পেশ করবেন।

• বাহিনীর লড়াইয়ের ক্ষমতা বাড়াতে সংস্কার কর্মসূচি তৈরি করবেন।

• তিন বাহিনীর যৌথ কার্যকলাপের উপরে বাৎসরিক রিপোর্ট দেবেন।

• বাহিনীর মধ্যে বিশ্বাস বাড়াবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন