প্রতীকী ছবি।
লোকসভা ভোটে গোটা দেশের পাশাপশি মোদী ঝড় আছড়ে পড়েছে কর্নাটকেও। তার পরেই রবিবার বিজেপি নেতা আর অশোক এবং এস এম কৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস বিধায়ক রমেশ জারকিহোলি এবং সুধাকর। ফলে রক্তচাপ বেড়েছে কর্নাটকের জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকারের।
প্রথম থেকেই কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারকে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। সম্প্রতি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পা দাবি করেছেন, কংগ্রেসের অনেক বিধায়কই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং জেডিএস নেতা এইচ ডি কুমারস্বামীকে মেনে নিতে পারছেন না। তাঁরা যোগাযোগ করছেন বিজেপির সঙ্গে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে কর্নাটকের ২৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ২৫টি। তার পরেই দুই কংগ্রেস বিধায়কের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করার বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতি আঁচ করে দলের নেতাদের সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জেডিএসের কার্যকরী সভাপতি এম এস নারায়ণ রাও।
এ দিন বেঙ্গালুরুতে বিজেপি নেতা কৃষ্ণের বাড়িতে যান জারকিহোলি এবং সুধাকর। সেখানে তখন উপস্থিত ছিলেন আর এক বিজেপি নেতা অশোকও। যদিও কংগ্রেসের দুই বিধায়কের দাবি, এই সাক্ষাতের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। জারকিহোলি বলেন, ‘‘এটা কোনও রাজনৈতিক সাক্ষাৎ নয়। আমরা কংগ্রেস বিধায়ক। লোকসভা ভোটে বিজেপির এই সাফল্যের পরে আমরা শুধু কৃষ্ণকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলাম।’’ একই কথা শোনা গিয়েছে সুধাকরের মুখেও। অশোকেরও দাবি, ‘‘জারকিহোলি এবং সুধাকরের মতো কংগ্রেস নেতার সঙ্গে তাঁর কোনও রকম বন্ধুত্ব নেই। আমি কৃষ্ণের বাড়ি গিয়েছিলাম দলীয় আলোচনার জন্য।’’
পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আগামী ২৯ তারিখে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। বস্তুত পথ চলার শুরু থেকই সরু সুতোয় ঝুলছে কুমারস্বামীর সরকার। ২২৫ আসন বিশিষ্ট কর্নাটক বিধানসভার ১০৫টি আসন জিতেছিল বিজেপি। কংগ্রেস-জেডিএস-বিএসপি মিলিয়ে জোট সরকার জিতেছিল ১১৭টি আসন। এই কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারকে ফেলে দিতে প্রথম থেকেই চেষ্টা করেছে বিজেপি। লোকসভা ভোটে সাফল্যের পরে সেই চেষ্টা আরও গতি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এ দিন বিজেপি নেতা কৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করেছেন মান্ড্য থেকে জেতা নির্দল সাংসদ সুমালতা অম্বরীশ। ছিলেন ইয়েদুরাপ্পাও। তিনি অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, জেডিএসের সমর্থন নিয়ে কখনওই সরকার গড়বেন না।