মায়ের সঙ্গে কিশোরী ফিরল বেঙ্গালুরুতে

আদালতের নির্দেশে শেষ অবধি মায়ের হাতেই তুলে দেওয়া হল নাবালিকা কন্যাকে। ১৩ অক্টোবর প্রেমিক আফারুদ্দিনের হাত ধরে বেঙ্গালুরুর বাড়ি থেকে পালিয়ে কাটলিছড়ায় এসেছিল সায়েদ হুরিয়ান নামে ১৩ বছরের এক কিশোরী। আফার মেয়েটিকে নিজের বাড়িতেই তোলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটলিছড়া শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:০৬
Share:

আদালতের নির্দেশে শেষ অবধি মায়ের হাতেই তুলে দেওয়া হল নাবালিকা কন্যাকে। ১৩ অক্টোবর প্রেমিক আফারুদ্দিনের হাত ধরে বেঙ্গালুরুর বাড়ি থেকে পালিয়ে কাটলিছড়ায় এসেছিল সায়েদ হুরিয়ান নামে ১৩ বছরের এক কিশোরী। আফার মেয়েটিকে নিজের বাড়িতেই তোলে। ও দিকে, মেয়েটির বাড়ি থেকে থানায় অভিযোগ করার পরেই বেঙ্গালুরু পুলিশ হাইলাকান্দি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। হাইলাকান্দি পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে। ফেরার হয়ে গিয়েছে আফার। গত কাল আদালত নির্দেশ পেয়ে মেয়েকে নিয়ে তার মা ও পুলিশের দলটি বেঙ্গালুরু রওনা হয়ে যায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটলিছড়ার ধলাইমলাই গ্রামের আফারুদ্দিন কিছুদিন আগে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করতে যায়। সেখানে সে সায়েদ হুরিয়ানদের বাড়িতে ভাড়া থাকত। সেখানে থাকতে থাকতেই কিশোরী হুরিয়ানের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১৩ অক্টোবর আফার হুরিয়ানকে নিয়ে পালিয়ে কাটলিছড়ার গ্রামের বাড়িতে এসে ওঠে। মেয়ের বাবা ইরফান পাশা বেঙ্কটেশপুরম থানায় প্রথমে একটি নিখোঁজ ডায়েরি ও পরে আফারকে অভিযুক্ত করে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তার লকাজের জায়গায় আফারকে না পেয়ে সেখানে কর্মরত কাটলিছড়া এলাকার সব ছেলেদের ধরে নিয়ে যায়। এ খবর কাটলিছড়ায় এসে পৌঁছলে ধলাইমলাই গ্রামের জনগণ ও আফারের বাড়ির লোকজন আফার ও হুরিয়ানকে গত ২২ অক্টোবর কাটলিছড়া থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

এ দিকে, থানায় থাকাকালীনই দু’জন আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে হাসপাতালে তাদের ভর্তি করানো হয়। সুস্থ হয়ে ওঠার পর তাদের আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের জামিনে ছেড়ে দেয়। পরে ২৫ অক্টোবর হুরিয়ানের মা উম্মে সালমা ও বেঙ্কটেশপুরম থানার এসআই সিরাজুদ্দিন কাটলিছড়ায় এসে পৌঁছন। তাদের নিয়ে কাটলিছড়া থানা আফারের বাড়িতে হানা দেয়। আফারকে পাওয়া না গেলেও হুরিয়ানকে উদ্ধার করে পুলিশ আদালতে তোলে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন